নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা বিধি ভেঙে দিঘায় গ্রেপ্তার হলেন ২১জন পর্যটক। এঁদের বাড়ি কলকাতা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় বলে জানা গেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা রুজু করেছে দিঘা পুলিশ। উল্লেখ্য দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন প্রত্যহৃত হওয়ার পর থেকেই পর্যটকের ঢল নেমেছে দিঘায়। যদিও সেই সময় থেকেই পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হয়েছিল করোনা বিধি মানার জন্য। করোনা বিধি না মানায় সেই পর্যায়েও কিছু পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়।
যদিও তার পরেও হুঁশ ফেরেনি পর্যটকদের। সৈকত থেকে সমুদ্র সর্বত্রই এক শ্রেণীর পর্যটক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বেপরওয়া ভাবেই। ইতিমধ্যে রাজ্যে নতুন করে করোনার গ্রাফ চড়তে শুরু করায় ফের কড়া হতে শুরু করেছে প্রশাসন। তারই ফলশ্রুতিতেই ফের সৈকত শহরে অভিযান শুরু হয়েছে। জানা গেছে পুজোর পর থেকেই নতুন করে রাজ্যে সংক্রমনের হার বাড়তে শুরু করায় বুধবারই নতুন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।
সেই নির্দেশিকায় সাধারণ জনজীবনের পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও কঠোর ভাবে করোনা বিধি বলবৎ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সেই নির্দেশিকা জেলা গুলিতে আসার পর থেকেই তৎপরতা বেড়েছে পুলিশের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিঘার সৈকতের বাজার, স্নানের ঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় করোনা বিধি নিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করারজন্য মাইকিং শুরু হয় পুলিশের তরফে।
ঘন্টা খানেক বাদেই দিঘা পুলিশের কয়েকটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে। এরপরই মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে দিঘায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ২১ জন পর্যটক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গ্রেপ্তার করার পর এদের নাম ঠিকানা নথিভুক্ত করে মহামারী আইনে মামলা রুজু করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট তারিখে এঁদের বিরুদ্ধে মামলা উঠবে আদালতে। তখন ফের স্বশরীরে হাজিরা দিতে হবে।
এদিকে উপকূল আইন ভেঙে তাজপুরে নির্মাণ কার্য চালানো হচ্ছে খবর পেয়ে বুধবারই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাজপুরের সৈকতে অভিযান চালায় মন্দারমনি কোস্টাল পুলিশ। জানা গেছে রামনগর ১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায়ের নির্দেশেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই অভিযানে অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ৩১ জন শ্রমিক। এঁরা প্রত্যেকেই ভিন জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বুধবার প্রত্যেকেরই জামিন নাকচ করে দিয়েছে কাঁথি মহকুমা আদালত। যদিও প্রশ্ন উঠেছে যাঁদের হয়ে শ্রমিকরা এই নির্মাণকার্য চালিয়েছিল তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন?