Saturday, July 27, 2024

Digha: দিঘায় ঘাপটি মেরে নেই তো সন্ত্রাসীরা ! হোটেলে হোটেলে তল্লাশি পুলিশের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত পোহালেই ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। আনন্দ উৎসবের মধ্যেই রয়েছে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হানার চোখ রাঙানি। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য দেশের এমন জায়গায় নাশকতা মূলক কাজ চালাও যাতে দেশে কিংবা বিশ্বে তাঁদের অস্তিত্ব প্রমান করা যায়। তাঁদের লক্ষ্য তাই জনবহুল এলাকা, পরিচিত এলাকা, ট্যুরিস্টস্পট কিংবা তীর্থস্থান, জনবহুল জংশন কিংবা বিখ্যাত বাজার। সন্ত্রাসীদের তালিকায় রয়েছে বাংলাও। বিশেষ করে গত ১৯শে নভেম্বর ঝাড়খন্ড থেকে মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষানদাকে গ্রেফতারের পর মাওবাদী জঙ্গিদের নিশানায় বাংলা ঝাড়খন্ড ওড়িশা। আর সে কারণেই ওড়িশা লাগোয়া বাংলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র দিঘাকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

মঙ্গলবার দিনভর জেলার সৈকত শহর দিঘার রেলস্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড, জাতীয় সড়ক থেকে অলিগলির রাস্তায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। চলন্ত বাস থেকে চারচাকা দাঁড় করিয়ে চলেছে নিবিড় তল্লাশি। ওল্ড দিঘার বাইপাস, জগন্নাথ ঘাট মোড় এবং ওডিশা-বাংলা আন্তঃরাজ্য সীমান্তে এদিন সকাল থেকেই যেকোনো গাড়ি মায় বাইক থামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালানো হয়েছে ওল্ড এবং নিউ দিঘার বিভিন্ন হোটেলগুলিতে। কারা, কেন, কোন পরিচয়ে হোটেলে রয়েছেন তা জানতে রেজিস্টার পরীক্ষা করে পুলিশ। তল্লাশি অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর, বিস্ফোরক গন্ধি যন্ত্র।

দিঘার পাশাপাশি গোটা জেলার সমস্ত থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ। বিশেষ করে জেলার সংবেদনশীল জায়গা এবং আন্তঃরাজ্য ও জেলা সীমান্তগুলিতে অতিরিক্ত সর্তক রয়েছে পুলিশ। সীমান্ত এলাকাগুলিতে ২৪ ঘন্টার নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আরোহীদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই আলাদা করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় স্থানীয়দের পাশাপাশি হোটেলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে, কোনওরকম সন্দেহজনক বস্তু দেখলে কিংবা অচেনা কোনও ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা চলে, কোনওরকম নাশকতার ছক বানচাল করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘জেলাজুড়ে নিরাপত্তা এবং নজরদারি আঁটোসাঁটো রাখা হয়েছে। ২০ টি জায়গায় সন্ধে পর্যন্ত ৫০০-র বেশি গাড়ি ধরা হয়েছে। তার মধ্যে মামলা করা হয়েছে বেশ কিছু গাড়ির বিরুদ্ধে।’

- Advertisement -
Latest news
Related news