নিজস্ব সংবাদদাতা: বারবার লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। স্টেশনে স্টেশনে ঘেরাও, রেল অবরোধ হয়েছে। সাধারণ মানুষ, নিত্য যাত্রীদের দাবি বাস, ট্যাক্সি, টোটো, অটো যখন চালু হয়েছে তখন চালু হোক লোকাল ট্রেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে আছে তারা। রাজ্য চাইলেই চলবে লোকাল ট্রেন । কিন্তু টনক নড়েনি রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, লোকাল ট্রেন চালালে ফের ছড়িয়ে পড়বে করোনা সংক্রমন। তাই এখন লোকাল নয়। রেল বরং যত খুশি স্পেশাল ট্রেন চালাক। রেল দুর পাল্লার স্পেশাল ট্রেন চালু করেছিল আগেই। তারপর চালু হয় স্টাফ স্পেশাল। মূলতঃ সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যই চালু হয় স্টাফ স্পেশাল যাতে উঠতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষ, ছোট ব্যবসায়ী, ফুল, সবজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়ানো হচ্ছে কৃষক স্পেশাল ট্রেন!
মূলতঃ ওই সব ছোট ব্যবসায়ীদের ‘আরও ট্রেনের’ দাবিতে এবার কৃষক স্পেশাল চালাতে চলেছে পূর্ব রেলও। হাওড়া ডিভিশনে চালু হয়েছে কৃষক স্পেশাল ট্রেন। কৃষক স্পেশাল ট্রেনের সবে মাত্র দু’দিন হয়েছে৷ আর তাতেই চাহিদা বাড়ছে কৃষক স্পেশালের। আপাতত শান্তিপুর ও গেদে থেকে চালু হয়েছে কৃষক স্পেশাল। শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক প্রান্ত থেকে আসা শুরু হয়েছে অনুরোধ। কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালানো হোক।
বিশেষ করে ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, ক্যানিং শাখা থেকে আসতে শুরু করেছে অনুরোধ। যাতে কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়। তবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় চাহিদা বেড়েছে, মূলত মৎস্যজীবীদের। লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় ভেন্ডর কামরা ব্যবহারের অনুমতি কোনও ভাবেই পাচ্ছিলেন না কাঁচা পণ্যের ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে বাড়ছিল দুর্ভোগ। তা সামলাতে কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য নদিয়ার গেঁদে এবং শান্তিপুর থেকে দু’টি বিশেষ লোকাল ট্রেন, কৃষক স্পেশ্যাল হিসেবে চালাতে শুরু করেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।
এই দু’টি ট্রেন সকালে এবং বিকেলে চলবে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জারি হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের সময়ে শহরের বিভিন্ন বাজারে, ফুল, ফল, সবজি, ছানার মতো পণ্যের জোগানে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি সামলাতে পরের দিকে কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ীরা সড়ক পথে ছোট ট্রাক ব্যবহার করতে শুরু করেন। এর ফলে পরিবহণ খাতে খরচ বেশ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছিল পণ্যেরও।