Saturday, July 27, 2024

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুকে নোটিশ ধরিয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা ! দুঃখ প্রকাশ করে প্রত্যাহার হলদিয়া পুলিশের

Must appear within 7 days! Opposition leader Suvendu Adhikari was served a notice by Haldia Durgachak police station in East Midnapore district. But after a while the same police station sent a letter to Shuvendu Adhikari again requesting him to ignore the notice. The question has been raised about the minimum 'sense of law' of the state police officers as it is well known that a court order had earlier said that in order to interrogate an opposition leader in a case, he should speak to him and interrogate him in a timely manner. It should be kept in mind that Suvendu is not entitled, this protection has been given to the Leader of the Opposition in the state. Therefore, as a result of giving this notice, the officer could have been accused not only of contempt of court but also of contempt of assembly.

- Advertisement -spot_imgspot_img
পুলিশের নোটিশ প্রত্যাহার

নিজস্ব সংবাদদাতা: হাজির হতে হবে ৭ দিনের মধ্যেই! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকাররীকে (Suvendu Adhikari) পাঠিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার দুর্গাচক থানা। কিন্তু তারপরই ওই নোটিশ অবজ্ঞা করার (Ignore it)অনুরোধ জানিয়ে ফের শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি পাঠালো সেই থানাই সঙ্গে জানালো, ভুল করে হয়ে গেছে। বিষয়টি রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের নূন্যতম ‘আইনবোধ’ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর চিঠি

কারন এটা সর্বজন বিদিত যে ইতিপূর্বেই আদালতের একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল যে বিরোধী দল নেতাকে কোনও মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে তাঁর সময়মতই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মনে রাখতে হবে শুভেন্দু অধিকারী বলে নয়, এই রক্ষাকবচটি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। তাই এই নোটিশ দেওয়ার ফলে শুধুই আদালত অবমাননা নয় বিধানসভার মর্যাদাভঙ্গের অভিযোগেও অভিযুক্ত হতে পারতেন ওই আধিকারিক।

আদালত অবমাননায় পড়ার ভয়েই প্রত্যাহার নোটিশ, বললেন শুভেন্দু

উল্লেখ্য গত মার্চ মাসে দুর্গাচক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাচক থানা একটি মামলা দায়ের করে যাতে অতিমারি কালীন সময়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মিটিং-মিছিল করা, পুলিশের কাজ বাধা দেওয়া ইত্যাদি কারণে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ওই নোটিশে তাঁকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয় আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে তাঁকে হাজির হতে হবে তাঁকে।

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

সেই নোটিশ হাতে পাওয়ার পরই ৫ই এপ্রিল শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী অনির্বান চক্রবর্তী একটি চিঠি দেন দুর্গাচক থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে এবং তাঁকে মনে করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বর মাসেই কলকাতা উচ্চ আদালতের (Kolkata High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Rajsekhar Mantha) রায় দিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কোনও মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর দেওয়া সময় এবং স্থানেই তা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য সেই সময় অধিকারীর বিরুদ্ধে আনা কয়েকটি মামলা খারিজও করে দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। মান্থা তাঁর রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘ বিরোধী দলনেতার সামাজিক দায়িত্বের দিকটি মাথায় রেখে তাঁর সুবিধাজনক সময় ও স্থানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’ শুভেন্দুর আইনজীবীর এই চিঠি পাওয়ার পরই টনক নড়ে পুলিশের। এরপরই বিরোধী দলনেতাকে তড়িঘড়ি একটি চিঠি পাঠিয়ে আগের দেওয়া নোটিশ কে অবজ্ঞা করার অনুরোধ করা হয়।

এরপরই শুভেন্দু অধিকারী পুলিশকে কটাক্ষ করে একটি ট্যুইটবার্তায় বলেন,’ তাঁর আইনজীবী চিঠি পাওয়ার পরেই আদালত অবমাননার ভয়ে রাজ্য পুলিশ তাঁকে দেওয়া নোটিস প্রত্যাহার করেছে।’ পরে এই সংক্রান্ত আরও একটি ট্যুইটে বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দাবি করেন , মমতা সফল ভাবে রাজ্য পুলিশকে তৃণমূলের গণসংগঠনে পরিণত করেছেন। এতে পুলিশের কর্মদক্ষতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশের তরফে এতবড় ভুল হল কী করে? মনে করা হচ্ছে বিচারপতি মান্থার দেওয়া রায়কে পুলিশ শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রায় বলেই মনে করেছিল বা পুলিশকে সেই ভাবেই ভুল বোঝানো হয়েছিল। আদতে এই রায় শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে ততদিনের জন্যই বহাল থাকবে যতদিন তিনি বিরোধী দলনেতা থাকবেন।

- Advertisement -
Latest news
Related news