নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ তার আগেই ওই শিক্ষাবর্ষের জন্য ছুটির তালিকা ঘোষণা করে দিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। যদিও এই ছুটির তালিকাকে চূড়ান্ত না বলে ‘মডেল’ বা আদর্শ ছুটির তালিকা বলা হয়েছে। যার অর্থ এটা রদবদল হতে পারে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এই ছুটির তালিকায় সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যালয় প্রধানদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসস।
আগামী বছর সর্বমোট ৬৫দিন ছুটি বরাদ্দ করা হয়েছে রবিবার বাদ দিয়ে। এর মধ্যে ২৪ মে থেকে ৪ঠা জুন গরমের ছুটি থাকছে। রবিবার বাদ দিলে মঙ্গলবার থেকে শনিবার মোট ১১দিন ছুটি থাকছে। অন্যদিকে পুজোর ছুটি পড়ছে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭শে অক্টোবর অর্থাৎ মহাপঞ্চমী থেকে ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন অবধি। রবিবার বাদ দিলে মোট ২৪জন ছুটি পাওয়া যাবে। এবছর ছুটির মধ্যে রবিবার পড়ে যাওয়ায় কিছু ছবি মাটি হয়েছে। যেমন ১লা মে, হরিচাঁদ ঠাকুর, মহালয়া, গান্ধি জয়ন্তী, to ছটপূজো, বড়দিনের ছুটি মার খাচ্ছে রবিবার পড়ে যাওয়ায়।
রবিবার যে ছুটি মার খেয়েছে এবং গরম ও পুজোর ছুটির বাইরে ছুটি থাকছে ১লা জানুয়ারি, ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী, ২৩শে জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তী, ২৬ শে জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস, ৪ এবং ৫ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো, ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্চানন বর্মা জন্মজয়ন্তী, ১ মার্চ শিবরাত্রী, ১৮ ও ১৯ মার্চ হোলি এবং দোলযাত্রা অথবা শবেবরাত, ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল আম্বেদকর ও মহাবীর জন্মজয়ন্তী এবং গুডফ্রাইডে ও বাংলা নববর্ষ। ৩,৪ মার্চ ঈদ-উল-ফেতর। ৯ মে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী, ১৬ মার্চ বুদ্ধ পূর্ণিমা। ১লা জুলাই রথযাত্রা, ৯ আগস্ট মহরম, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ১৯ আগস্ট জন্মাষ্টমী।
এছাড়া ৩০ এবং ৩১শে অক্টোবর ছট পূজো, ৮ নভেম্বর গুরু নানক জন্মজয়ন্তী এবং ১৫ ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডা জন্মজয়ন্তী। মোট ৫৭টি ছুটির বাইরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুসারে যাতে ছুটি দিতে পারেন তার জন্য আরও ৮টি ছুটি মঞ্জুর করেছে সংসদ। কবি ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী ১৩ই জুলাই কেবলমাত্র দার্জিলিং ও কালিংপঙ জেলার স্কুলগুলির জন্যই। ছুটি অথচ বিদ্যালয়ে এসে পালন করতে হবে স্বাধীনতা দিবস, নেতাজী জন্মজয়ন্তী, সাধারণতন্ত্র দিবস, ৫সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস, ২৬শে সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগর জন্মজয়ন্তী। এরমধ্যে রবিবার হলেও স্কুলে পালন করতে হবে সাধারণতন্ত্র দিবস।
আগামী শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলির কার্যকরী দিন ধরা হয়েছে ২৩৮দিন। যদি কোনও বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক অথবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হয়ে থাকে তবে মাধ্যমিকের জন্য ৯দিন ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ১৩দিন বাদ যাবে ওই তালিকা থেকে। স্থানীয়ভাবে উৎসব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কোনও কারনে উচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে ছুটির রদবদল করা যেতে পারে কিন্তু তা ১৫ টিছুটি নিয়েই হতে পারে। এই ছুটির তালিকার সমালোচনা করেছেন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসস, রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। মাইতি বলেন, গরমকালে এপ্রিলমাসের শেষের দিক থেকেই যখন ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায় সেখানে ২৪মে অবধি টানা স্কুল অবৈজ্ঞানিক। আমরাপশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বিষয়টি ভেবে দেখতে অনুরোধ রাখছি। বরং কাট করা হোক শীতের ছুটির।