নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির ওপর ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি করছে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইলে বন্দি এমনই এক ভিডিও সামনে এনে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির অধিকারী পরিবারের বাড়ি শান্তিকুঞ্জের ওপর এভাবেই অবৈধ নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানালেন সাংসদ। বিষয়টি নিয়ে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন তমলুকের সাংসদ।
দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে। ওই সময় আমার মেয়ে ঘরের ভেতর পড়াশুনা করছিল। আমি বারান্দায় ছিলাম। হঠাৎই নজরে আসে বাড়ির মাথায় ড্রোন উড়ছে। আমি গিয়ে দেখি আমার বাড়ি লাগোয়া কলেজের ভেতর থেকে কয়েকজন ড্রোন ওড়াচ্ছে। আমি কলেজের প্রিন্সিপালকে ফোন করে বিষয়টা জানতে চাই। কিন্তু উনি বলেন এরকম কিছু তিনি জানেননা । কলেজের কেউ নয়।” এরপরই সাংসদ বলেন, “আমি বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছি এই কাজ পুলিশের। সাদা পোশাকে পুলিশের লোকেরাই এই ড্রোন উড়িয়ে আমাদের বাড়ির ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল। এরপর আমি পুলিশকেও ফোন করি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ফোন ধরেননি। ফলে অভিযোগ জানাতে পারিনি।’
অধিকারী পরিবারের বাড়ির ওপর নজরদারি চলছে এমন অভিযোগ আগেও এসেছে। তাঁদের শান্তিকুঞ্জের প্রবেশ মুখে পুলিশ সিসিটিভির ক্যামেরা বসিয়ে পরিবারের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে পুলিশ, তাঁদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে এমন অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার কিন্তু শান্তিকুঞ্জের মাথার ওপর ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর অভিযোগ পুরানো অভিযোগের মাত্রাকে আরো জোরালো করল।
তমলুকের সাংসদ বলেছেন, বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা নাবালিকা মেয়ে থাকার কারণে বাড়ির একটা সুস্থ পরিবেশ থাকা দরকার। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি সেই পরিবেশ, সেই শান্তি দেন চাইছি।’ এদিনও দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও বলছি আমার নেত্রী মমতা ব্যানার্জি,আমি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার সংসদীয় দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জি। লোকসভায় আমার দলের মুখ্য সচেতক কল্যান ব্যানার্জির ওপর অমি শ্রদ্ধাশীল। তবু কেন, কার নির্দেশে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বুঝতে পারছিনা।”
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানব কুমার সিংলা বলেন, ‘ পুলিশ ড্রোন উড়িয়েছে বলে কোনও খবর আমার কাছে নেই। সত্যি এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।’