নিজস্ব সংবাদদাতা: শিক্ষা মন্ত্রী জেলে, পর্ষদ সভাপতি জেলে, উপাচার্য জেলে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জেলে, জেলে শিক্ষা আমলার দল। স্বাধীন ভারতের এই সব রেকর্ড ভাঙা কলঙ্ক তো ছিলই কিন্তু এবার যা আসতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে তা আরও কলঙ্কের, আরও ভয়াবহ তো বটেই তারও চেয়ে বড় কথা যে এক মারাত্মক সংকটের মুখে পড়তে চলেছে বাংলা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সিবিআই আদালতকে যা হিসাব দিয়েছে তাতে তারা নিশ্চিত যে ২০ হাজাররেও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বেআইনি!
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে দাঁড়িয়ে সিবিআই’র সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান এমনটাই বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত নথি তাই বলছে। সিবিআই প্রধানের দাবি, আমরা ইতিমধ্যেই ৯ হাজার জানের ওয়েমার শিট বিকৃত করার তথ্য পেয়েছি।
সিবিআই’র সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন সেনতি আদালতকে জানান, নিয়োগের জন্য যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে ওয়েটিং লিস্ট পর্যন্ত ভুয়ো তথ্য রয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাস থেকে সিরিয়াই র্যাঙ্ক জাম্পিং বা কারচুপি করে পিছন থেকে কাউকে এগিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে যে তদন্ত করেছে, সেখানে বড় রকমের অস্বচ্ছতা পাওয়া গিয়েছে।
শুধু তাই নয় এই মুহুর্তে এক বড় প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছে সাদা খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকার দল। জানা যাচ্ছে সংখ্যায় তাঁরাও বিপুল পরিমাণ। স্থানীয় দালাল চক্রের হাত ধরে যাঁদের ঘুষের টাকা পৌঁছে যেত নেতা আর মন্ত্রীদের কাছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুমান করছে বর্তমান জেলবন্দী প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিকাশের আমলে অর্থাৎ ২০১১ সালের পর থেকে তিনি পর্ষদ সভাপতি থাকাকালীন এক দশকে যে ৫৮ হাজার নিয়োগ প্রাথমিকে হয়েছে তার পুরোটাই টাকার বিনিময়ে হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।