নিজস্ব সংবাদদাতা: শীত কিছুটা কমতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার দাপট। মানুষ তো বটেই গৃহপালিত পশুগুলোর অবস্থাও সঙ্গীন মশার দাপটে। তাই গোয়ালে ধোঁয়া দিয়ে পশুগুলোকে একটু শান্তি দিতে চেয়েছিলেন গৃহস্থ। কিন্তু ফল হল মারাত্মক, সেই আগুন থেকেই প্রথমে গোয়ালঘর পরে নিজের ঘর সহ সর্বস্ব পুড়ে গেল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এমনই ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ঘাটাল থানার দেওয়ানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলাগেড়িয়া গ্রামে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ শোলাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মুরশেদ আলি’র প্রথমে গোয়ালঘরে আগুন লাগে এবং পরে তা পাশেই থাকা তার মাটির বসতবাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।গোয়ালঘরে লাগা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশেই মাটির খড়ের চাউনি বসতবাড়িতে।নিমেষে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন,প্রতিবেশীদের নজরে আসলে তড়িঘড়ি মুরশেদ আলি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়া হয়।প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘাটাল দমকল বিভাগের ইঞ্জিন ও ঘাটাল থানার পুলিশ। কয়েকঘন্টার প্রচেষ্টায় দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বটে কিন্তু ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে পুরো বাড়িটি,নষ্ট হয়েছে বাড়ির ভিতরে থাকা জামাকাপড় থেকে বাসনকসোন সবই। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও আসবাবপত্রও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যদিও পরিবারের সবাইকে বের করে নেওয়ায় তাঁদের কিছু হয়নি। রক্ষা পেয়েছে গৃহপালিত পশুগুলিও।
মুরশেদ আলি পেশায় প্রান্তিক চাষি,ওই মাটির বাড়িতেই পরিবারের ৮ সদস্যর বসবাস ছিল যা বর্তমানে আগুনে ভস্মীভূত।আগুন লাগার কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে মুরশেদ আলির গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দিয়েছিলেন তা থেকেই আগুন প্রথমে গোয়ালঘর ও পরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে পাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল। রাতের অন্ধকারে এমন ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
দমকল বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মশা তাড়াতে অনেকেই গোয়ালে ধোঁয়া দেন। এই আগুন আমাদের অলক্ষ্যে থেকে যায় তাই বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। যদি ধোঁয়া দিতেই হয় তবে ধোঁয়ার কাছাকাছি থাকতে হবে। না হলে বারবার নজর দিতে হবে। আগুন নিভিয়ে শুতে যেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় পশুদের জন্য বড় মশারি ব্যবহার করলে।