নিজস্ব সংবাদদাতা: আবারও গুলি চালিয়ে বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে জখম করে টাকা লুট করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতিরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীন থানার অন্তর্গত বেনাপুর লাগোয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকাল বেলায়। গুলিবিদ্ধ ওই যুবককে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পায়ে গুলি লেগেছে তাঁর। অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে। একই ঘটনার বারংবার পুনরাবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ পুলিশ। বেসরকারি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলির টাকা আদায়ের বিষয়ে পর্যাপ্ত গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গুলিবিদ্ধ ওই কর্মীর নাম আজিজুল রহমান। বাড়ি ঘাটাল থানা এলাকায়। বেসরকারি অর্থলগ্নীকারী ওই প্রতিষ্ঠানে টাকা আদায়ের কাজ করেন আজিজুল। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঋণের টাকা তুলে কোম্পানীর খাতে জমা করাই তার কাজ। সেইমত মঙ্গলবার খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার শ্যামলপুর এলাকা থেকে এই কর্মী টাকা সংগ্রহ করে মোটরবাইক চালিয়ে মকরামপুর-খড়গপুর রাজ্য সড়ক ধরে কৌশল্যা এলাকায় ফিরছিলেন। মাঝখানে মিলিটারি রোড এলাকার কাছে বাজারের সামনে পেছন দিক থেকে হেলমেট পরিহিত দুই যুবক বাইক নিয়ে এসে পৌঁছায়। তারপর এই কর্মীর বাইক আটকে একটি পিস্তল বের করে টাকা বোঝাই ব্যাগটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আজিজুল জানিয়েছেন, ‘ আমি ব্যাগ দিতে চাইনি। একজনের সঙ্গে টানাটানি চলার সময় অন্যজন আমার দেহের নিচের অংশ লক্ষ্য করে পরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায়। আমার ডান পায়ে একটি গুলি লাগার পর আর ঝুঁকি নেয়নি। ব্যাগটা ছেড়ে দেই। ওরা ব্যাগ নিয়ে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে খড়গপুর গ্ৰামীণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গুলিবিদ্ধ কর্মী আজিজুলকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সতর্ক করা হয় আশেপাশের থানা ও নাকা চেকিং পয়েন্টগুলোকে। যদিও দুষ্কৃতিদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। জানা গেছে দেড় লক্ষ টাকা ছিল ছিনতাই হওয়া ব্যাগে।
উল্লেখ্য এমন ঘটনা প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল খড়গপুর গ্রামীনেরই বলরামপুরের রাস্তায়। পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক থানা এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের বক্তব্য বারবার এই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে টাকা আদায়ের জন্য একজনের পরিবর্তে একই সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করার জন্য। তাহলে দুষ্কৃতিদের এই ধরনের সাহস হবেনা। কিন্তু কোম্পানি গুলি সেই পরামর্শ মানছেনা। পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় কে কখন টাকা আদায় করতে যাচ্ছে তা জানা।