নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝড় নয় বৃষ্টিই ডোবালো খড়গপুর মেদিনীপুরকে। শনিবার সন্ধ্যায় থেমে গিয়েছিল টিপটিপ বৃষ্টি কিন্তু রবিবার রাত ১টা থেকে মাঝারি আকারে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা থামার লক্ষণ নেই। অবিরাম বৃষ্টির সাথে রাস্তাঘাটে জলজমে মাটি হয়েছে রবিবারের ছুটির বাজার। প্রায় ঘরবন্দি হয়ে আছে দুই শহর। খড়গপুর শহরের অলিগলির রাস্তাগুলোতে জল তো জমেইছে তারই সাথে জল জমেছে ইন্দা থেকে পুরানো বাজার বরাবর বড় রাস্তার দু’ধারেও। লোকাল থানার সামনেও জল থৈ থৈ করছে। গোলবাজার, গেটবাজার, খরিদা, মালঞ্চ, নিমপুরা,, আরামবাটির রাস্তায় জল জমেছে ভালোই। শহরের দক্ষিণে বুলবুলচটি, মিরুপুর, ছোটট্যাংরা, ঝাপেটাপুর থেকে রবীন্দ্রপল্লী দীনেশনগরের নিচু অংশেও জমেছে জল।
মেদিনীপুর শহরেও এলআইসি থেকে পোস্টঅফিস রোড বরাবর রাস্তার ওপর জলের প্রকোপ যথেষ্ট। ধর্মা লাগোয়া রামকৃষ্ণ নগর, সারদাপল্লী, সূর্যনগর থেকে শুরু করে সুজাগঞ্জ, পালবাড়ি, গনপতিনগর থেকে শুরু করে জল জমেছে মহাতাপপুর, পাটনাবাজার, নজরগঞ্জের নিচু এলাকা গুলিতেও। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পুরী থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জাওয়াদ। তবে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে এই নিম্নচাপ তত বৃষ্টির পরিমান আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদরা।
আগেই ঘুর্নিঝড়ের তকমা হারিয়েছে জাওয়াদ। আর তা হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর এই নিম্নচাপের কারনে ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছে। কলকাতা সহ বাংলার একাধিক জেলাতে এই বৃষ্টিপাত চলবে। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি একি রয়েছে। কালো মেঘে ঢাকা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি এই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে তেমনভাবে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে বেলা বাড়তে বাড়তে পরিস্থিতি বদল হতে শুরু করবে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
অতিভারী বৃষ্টিও হতে পারে সন্ধ্যার দিকে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা এবং হুগলি জেলায়। আর ৬ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। এমনটাি জানানো হয়েছে। তবে কয়েকটি জেলাতে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
সাইক্লোনের আশঙ্কায় কাঁপছিল বাংলা। যদিও সাগরেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে জাওয়াদ। ফলে বড় ল্যান্ডফলের আর কোনও আশঙ্কা নেই। যদিও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি ছিল নবান্ন। সবরকম ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এনডিআরএফ টিম মোতায়েন সহ কর্মীদের ছুটি বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে। খোলা হয় কন্ট্রোলরুমও। জেলার সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হয়। উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত মানুষকে নিরাপদে সরানোর কাজ করা হয়। একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও এখনও রাজ্যের তরফে পরিস্তিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় এখনও সমস্ত ক্ষেত্রে অ্যালার্ট রাখা হয়ে