নিজস্ব সংবাদদাতা: ২ বছর পর ফের বড়সড় করে উৎসবের আমেজে বাঙালি। পূজা কমিটির লম্বা বাজেটের সাথে তাল মিলিয়ে বাঙালি গৃহস্থের বাজেটও লম্বা। আর কিছু না হোক বাড়ির কচিকাঁচাদের জন্য নতুন জামা কাপড়। সম্ভব হলে গৃহিণীর জন্য একটা নতুন শাড়ি। কোনও কোনও বাড়ির মেয়েরা বাড়িতেই কেনাকাটা সারেন, ফেরিওয়ালাদের কাছে। তাই প্রচুর ফেরিওয়ালা বাংলার বাইরে থেকেও আসেন। খবর পাওয়া যাচ্ছে সেই ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশেই ঢুকছে ডাকাতের দল।
এরকমই এক ডাকাতদল ধরা পড়েছে আসানসোলের কল্যানেশ্বরীতে যাদের নতুন শাড়ির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গেছেশাড়ি বিক্রেতা সেজে এই দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষের অন্দরমহলে ঢুকে পরিকল্পনা করেছিল লুঠের৷ যদিও তার আগেই পুলিশের নাকা চেকিং-এ ধরা পড়া যায় তারা।
বৃহস্পতিবার দেন্দুয়া-কল্যানেশ্বরীর রাস্তার উপর কদভিটা মোড়ের কাছে বিশেষ নাকা তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। আর সেই তল্লাশিতেই আটকে পড়ে নম্বরবিহীন একটি স্কুটি বাইক। ওই গাড়ির ডিকি খুলে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে শাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র। ওই গাড়ি থেকেই পুলিশ একটি দেশি ওয়ান শাটার পিস্তল, তিন রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সঞ্জয় কুমার (৩৫) এবং সেলিম শেখ (১৯) ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা সোনাডাঙার বাসিন্দা৷ প্রাথমিকভাবে সালানপুর থানার আইসি অমিত কুমার হাটি এবং কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির ওসি উজ্জ্বল সাহা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন শাড়ি কাপড় বিক্রির নামে এলাকায় এরা বড় দুস্কর্ম করার মতলবে ছিল। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সকলকে ধরার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “সালানপুর থানার কল্যানেশ্বরীর ঘটনা আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে। গত ২ বছর ধরে আমরা অনেক কিছুই অভ্যাস ভুলে গেছিলাম। যেমন ভুলে গেছিলাম পূজার আগেই বিভিন্ন ভাবে দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুধুই ফেরিওয়ালা নয়, পূজার আগে হাটে বাজারে সক্রিয় হচ্ছে কেপমার, পকেটমার ইত্যাদিরা। ফেরিওয়ালাকে যাচাই না করেই বাড়ির অন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেন অনেকেই৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেই অপরাধের জাল বুনছিল অভিযুক্তরা। এই দুষ্কৃতীদের একটা বড় অংশ আসে ভিন রাজ্য থেকে। নাকা চেকিংয়ের পাশাপাশি শহরের হোটেল গুলোতেও কড়া নজরদারি রাখার সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে বলা হয়েছে।”