নিজস্ব সংবাদদাতা: আর গাছতলা নয়, পাঠশালাতেই শুরু হচ্ছে পঠনপাঠন। সোমবার এমনই বড়সড় ঘোষণা করল নবান্ন। বলা হয়েছে আগামী বুধবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি। সোমবার নবান্নের তরফে বলা হয়েছে কোভিডের (COVID-19) প্রকোপ কমে গেছে অনেকখানি আর সেই কারণে চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের প্রাথমিক বিভাগ (Primary schools), খুলছে অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) কেন্দ্রগুলিও। সোমবার নয়া কোভিড গাইডলাইন জারি করে এ কথা জানাল নবান্ন। তবে কঠোর বিধি মেনে তবেই স্কুলে প্রবেশের অনুমতি পাবে পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আপাতত ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য টানা ২বছর বন্ধ ছিল প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন। মনে করা হয়েছিল এবছরের গোড়াতেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলা হবে কিন্তু হঠাৎ করে করোনার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় থমকে যায় সরকার। এদিকে রাজ্যজুড়ে সমস্ত স্তরের স্কুল খোলার দাবিতে উত্তাল হয় রাজ্য। এরপর গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই রাজ্যে বড়দের স্কুল এবং কলেজ খুলে দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহেই নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের স্কুল খোলার ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় চলছে। কোভিডের বিপদ না থাকলে ছোটদের স্কুলও খোলা হবে। অন্তত ছোট ক্লাস যেগুলো ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানো যায় কি না স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। একদিন অন্তর একদিন স্কুলে আসবে সে ক্ষেত্রে। এ ভাবে হলে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো অন্তত চলতে পারে।’’ এর পরেই রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল রাজ্য সরকার।
এদিকে নয়া কোভিডবিধিতে শিথিল করা হয়েছে নাইট কারফিউও (Night Curfew)। রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। এতদিন রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। অর্থাৎ নাইট কার্ফূ্র মেয়াদ কমল ১ঘন্টা। তবে নয়া কোভিড নির্দেশিকায় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্কুল খোলার বিষয়টি। জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এবার স্কুলে গিয়েই পড়াশোনা করতে পারবে। কীভাবে ক্লাস করানো হবে, তার গাইডলাইন দেবে স্কুলশিক্ষা দপ্তর।