নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.২০ নাগাদ দিল্লির পালাম বায়ু সেনার ঘাঁটিতে তামিলনাড়ুর নীলগিরি থেকে এসে পৌঁছালো চিফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত-সহ চপার দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের দেহ। সাথে সাথেই বিমর্ষ বয়ে পড়েন জওয়ানরা। মিনিট কয়েকের মধ্যে শুরু হয় সেনার ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান’। তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পালাম ঘাঁটিতে হাজির ছিলেন রাওয়াত দম্পত্তির দুই কন্যা কৃতিকা ও তারিণী। বাবা-মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁরাও।
এই মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত সেনা আধিকারিকদের প্ৰয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ, সমগ্র জাতি। ঘটনার ২৪ঘন্টা পেরিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নিহত সেনা বীরদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। বাদ যায়নি খড়গপুরও। খড়গপুর স্কাউট গাইড ফেলোশিপের উদ্যোগে সিডিএস বিপিন রাওয়াত ও আরো ১২জনের কপ্টার দুর্ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুতে মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিল গোলাবাজার পরিভ্রমণ করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃষ্টির মধ্যেই স্কাউট সদস্য ও সদস্যাদের পা মিলিয়েছেন সাধারন মানুষও। শোকমিছিলকে দেখে শ্রদ্ধায় দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
খড়গপুরের পাশাপাশি এদিন নিহত সেনা আধিকারিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মোমবাতি জ্বালানো হয় ডেবরা থানার অন্তর্গত শ্যামচক জাগৃতি সঙ্ঘে র পক্ষ থেকে। ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকার মানুষরাও অংশগ্রহন করেছেন এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে। মোমবাতি জ্বালানোর পাশাপাশি চলে নীরবতা যাপন। শ্যমচকের মত একটি প্রান্তিক এলাকায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান প্রমান করে দিয়েছে জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩জনের মৃত্যু কী পরিমাণ আলোড়ন তৈরি করেছে দেশবাসীর মনে।
দেশের মানুষের এই আবেগ ও সম্মানকে গুরুত্ব দিয়েই আগামীকাল, শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দিল্লির বাড়িতে রাখা থাকবে জেনারেল রাওয়াতের দেহ। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ ও পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য। একই সাথে আগামীকাল শেষবারের মত গানস্যালুট ও লাস্টপাসের মধ্যে দিয়েই নিজ নিজ এলাকায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বাকি ১১জন সেনা আধিকারিকেরও। বিঃদ্রঃ এছাড়াও যদি কোনও ক্লাব সংগঠন এই অনুষ্ঠান করে থাকেন আমাদের জানান। আমরা সংযোজন করব।