Saturday, July 27, 2024

Babul Supriya: রাজনীতি নয়,বিজেপি ছাড়লেন বাবুল! অভিষেকের হাত ধরে তৃনমূলে অভিষিক্ত সুপ্রিয়

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃনমূলের হয়েই ব্যাট তুলে নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও আসানসোলের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া বিজেপি সাংসদ। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁকে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করতে বলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। মনোমালিন্যর সেই শুরু। মাস কয়েক আগেই তিনি ঘোষনা করেছিলেন রাজনীতি ছাড়ছেন। বিজেপির অন্দরে বাবুল ও দিলীপ ঘোষ সংঘাত বিতর্ক এই ঘটনায় আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। অবশেষে আজ অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতিতে তৃনমূলের হয়ে ব্যাট তুলে নিলেন বাবুল।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

যদিও সমস্যার শুরু হয়েছিল আরও একটু আগে থেকেই। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারীর বিজেপি আসা নিয়েও তাঁর তীব্র বিরোধিতা ছিল। যে বিরোধিতার জন্য তিওয়ারীর প্রথম দফায় বিজেপিতে যোগদান পিছিয়ে যায়। পরে অবশ্য জীতেন্দ্র বিজেপিতেই আসেন কিন্তু  বাবুল মানতে পারেননি সেই যোগদান। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের করতে বলায়।  প্রথমে প্রথম সেকথা জানিয়েও ছিলেন আভাসে ইঙ্গিতে। আর এখান থেকেই প্রকাশ‍্যে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন‍্যাস নেওয়ার কথা ঘোষনা করেন। তবে অন‍্য কোনো দলে যাবেন কিনা সে ব‍্যাপারে কোনো মন্তব‍্য তখন করেননি বাবুল। বিজেপির প্রতি ক্ষুব্ধ হলেও সাংসদ পদ থেকেও কিন্তু ইস্তফা দেননি তিনি।

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ‍্যান্ডেল থেকে বাবুলের পার্টিতে যোগদানের ছবি প্রকাশ করা হয়। তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। ছবিগুলি শেয়ার করে বাবুলকে তৃণমূলের অভ‍্যন্তরে সাদরে স্বাগত জানানো হয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘আজ সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এবং রাজ‍্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিলেন তৃণমূল পরিবারে। আমরা তাঁকে সাদরে স্বাগত জানাচ্ছি।’

অন্যদিকে বাবুল বলেছেন, “বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সুযোগ দিলেন। মন থেকে রাজনীতি ছেড়েছিলাম। হঠাৎ একটা সুযোগ পেলাম।  সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।” প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “গত ৪ দিনে সিদ্ধান্ত বদল করেছি। মেয়েকে একটা স্কুলে ভরতি করা নিয়ে ডেরেকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই তিনি এই অফার দেন।”

বাবুলের কথায়, “২০১৯ সালে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় পরিবার, বন্ধুরা আশ্চর্য হয়েছিল। এক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কী ক্ষমতা সেটা বোধহয় সকলে জানেন। আমি আর নতুন করে কিছু বলতে চাই না। তাহলে কি পুরনো দলের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই কি তৃণমূলে এলেন বাবুল। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন তিনি। আসানসোলের সাংসদের কথায়, “প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা ভাববেন না। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।”

- Advertisement -
Latest news
Related news