Saturday, July 27, 2024

Midnapore: শুধুই বরখাস্ত নয়, গ্রেপ্তার চাই পশ্চিম মেদিনীপুর অধ্যাপকের ! সবংয়ে আন্দোলনে অনড় ভারত জাকাত, প্রয়োজনে পথ অবরোধও

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: অধ্যাপিকার উদ্দেশ্যে জাতি বিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করার অভিযোগে এক অধ্যাপককে গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী ২১শে ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভে অনড় রইল ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহাল। ইতিমধ্যেই ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় ওই সংগঠন। তারা জানিয়েছেন, ওই কলেজের অধ্যাপককে শুধু বরখাস্ত করলেই চলবেনা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বলাবাহুল্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর এই সংগঠনটির এই ঘোষণার পর পরিস্থিতি একই রয়ে গেল।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

১৭তারিখই কলেজের অধ্যক্ষ চিঠি দিয়ে সাসপেন্ড করেছিলেন বাংলার ওই অধ্যাপক নির্মল বেরাকে। বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হওয়া তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কলেজে আসতে পারবেননা। ২৪ঘন্টা পেরুলোনা এই বরখাস্তকে লোক দেখানো বলে দাবি করে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের পক্ষ থেকে বলা হল অধ্যাপক বেরার গ্রেপ্তার না হওয়া অবধি আন্দোলন থেকে সরছেননা তাঁরা।

ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের সবং মুলুক পরগনার সভাপতি তথা পরগনার সর্বোচ্চ পদাধিকারী মিঠুন মান্ডি বলেছেন, ‘ অধ্যক্ষ তপন দত্ত আগে অধ্যাপককে বরখাস্ত করেননি। তিনি আমাদের চাপের মুখে বরখাস্ত করেছেন ওই অধ্যাপককে। আমরা গত ১৩ই ডিসেম্বর থেকে সবং কলেজ এবং তার সাথে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের কথা ঘোষণা করছিলাম। জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত দুই পুলিশ সুপার সদর এবং খড়গপুরের অনুরোধে সেই অবস্থান প্রত্যাহার করি। ওঁরা বলেছিলেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের দাবি ছিল অধ্যাপক বেরাকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারের এবং পাশাপাশি অধ্যক্ষর বিরুদ্ধেও ওই অধ্যাপককে মদতের অভিযোগ ছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চাই আমরা। আমরা মামুলি বরখাস্ত মানছিনা। আমরা ২১তারিখ সবং কলেজের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছি।’

মিঠুন মান্ডি আরও বলেছেন প্রয়োজনে ওইদিন রাস্তা অবরোধ করব আমরা। যদি আমাদের সেই পথে যেতে হয় তবে সবং ও পটাশপুর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। মিঠুনের দাবি একজন অধ্যাপিকাকে জাতিগত স্বত্তা নিয়ে অপমানিত করার পর যখন তা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করার পরও মাসের পর মাস ধরে তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা চলেছে। এমনকি স্থানীয় মন্ত্রীকেও বলতে শোনা গেছে যে অধ্যাপক নাকি কোনও অপমানজনক কথা বলেননি। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই এই ধরনের কথা বলার অর্থ কী? তারমানে আগে ভাগেই অধ্যাপককে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে এই সাময়িক বরখাস্ত করাটাও আইওয়াশ। মামুলি একটা তদন্ত করে ফের অধ্যাপককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মিঠুন।

উল্লেখ্য সবং কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নির্মল বেরার বিরুদ্ধে ওই বিভাগেরই অধ্যাপিকা পাপিয়া মান্ডি অভিযোগ করেছিলেন যে অধ্যাপক নির্মল বেরা একটি অনলাইন ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের ‘আদিবাসী’ বলতে ‘প্রাচীনকালে গাছের ডালে ডালে ঝুলে থাকত এমন প্রজাতির কথা বলেছিলেন। অধ্যাপিকা মান্ডির অভিযোগ ছিল, তিনি ওই ক্লাসে ছিলেন এবং মূলতঃ তাঁকে ব্যঙ্গ করেই ওই কথা বলা হয়েছিল। অধ্যাপিকা মান্ডির আরও অভিযোগ যে ঘটনাটি তিনি কলেজেই মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন অধ্যক্ষকে অভিযোগ করে। কিন্তু অধ্যক্ষও চেষ্টা করে গেছেন বেরাকে বাঁচানোর। বাধ্য হয়েই তাঁকে আইনের দ্বারস্থ হতে হয়। এরপরই ভারতীয় তপশীলি জাতি উপজাতি আইনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

- Advertisement -
Latest news
Related news