Saturday, July 27, 2024

Singur Tragic Incident: সম্পত্তি বিবাদে পুরো পরিবারকেই শেষ করে দিল মামাতো ভাই ! সিঙ্গুরে নৃশংস খুন বাবা-ছেলে-নাতি-বৌমা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে একই পরিবারের ৪জন খুন হলেন হুগলির সিঙ্গুরে। গোটা পরিবারটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বৃহস্পতিবার সকালে। পুলিশ জানিয়েছে, সিঙ্গুর থানার নান্দা এলাকার উদ্ধার হওয়া ৪টি দেহ হল মাভজী প্যাটেল (৭৬), দীনেশ প্যাটেল (৫০), অনসূয়া প্যাটেল (৪৫) এবং ভাবিক প্যাটেলের (২৭)।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে
৪ লাশ মর্গের পথে

ভাবিক দীনেশ এবং অনুসূয়ার একমাত্র সন্তান। মাভজী দীনেশের বাবা। ৩০ বছর আগে গুজরাট থেকে সিঙ্গুরে আসা প্যাটেল পরিবার নান্দা এলাকায় কাঠের ব্যবসা শুরু করেন। সেখানেই তাদের কাঠের গোলা এবং বসতবাড়ী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বছর তিনেক আগে প্যাটেল পরিবার ব্যবসার কাজের জন্য গুজরাট থেকে নিয়ে আসে আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানীকে। যোগেশের বাবা মাভজী প্যাটেলের শ্যালক । শ্যালকের অনুরোধেই তার ছেলে যোগেশকে ব্যবসার কাজে লাগিয়েছিলেন মাভজী। পরে নিজের আরও দুই ভাইকে সিঙ্গুরে নিয়ে আসে যোগেশ। সম্প্রতি বিয়েও করেছিল যোগেশ আর তারপর থেকেই প্যাটেল পরিবারের সাথে তার বিবাদের সূত্রপাত।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে তাঁরা দীনেশের মামাতো ভাই যোগেশ ধাওয়ানীকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দীনেশ প্যাটেলের বাড়িতে ঢুকতে দেখেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। দেখেন ওই আত্মীয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ঘরের ভিতরে বাবা, ছেলে, বউমা ও নাতি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

এই বাড়িতেই ঘটে খুনের কান্ড

সারা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। চার জনেরই শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র এবং ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা দীনেশ প্যাটেল ও তাঁর স্ত্রী অনসূয়াকে মৃত বলে জানান।

দীনেশবাবুর ছেলে ভাবিক প্যাটেল ও বাবা পাভজি প্যাটেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই দীনেশের মামাতো ভাই যোগেশ ধাওয়ানী পলাতক। সূত্রের খবর, দীনেশ প্যাটেলের বাড়িতে রাতে যে পাহারাদার থাকতেন, তিনি এদিন সকালে যোগেশকে বাড়িতে আসতে দেখেছিলেন।পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তমাখা অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেন বলে অভিযোগ। দীনেশের করাতকলে কাজ করত যোগেশ। সিঙ্গুরের হাকিমপুরে বিশ্বনাথ দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গত দু’বছর ধরে যোগেশ মাকে নিয়ে ভাড়া থাকত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনার পর সেই বাড়িতে তালা দিয়ে সকলে অন্যত্র চলে যায়।

সিঙ্গুর থানার পুলিশ মৃতের পরিবারের পাহারাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যার ভিত্তিতে খুনির সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দীনেশ প্যাটেলের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে খুনিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। হুগলি জেলা গ্রামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র জানান, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ব্যবসা ও সম্পত্তিগত বিবাদের জন্যই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে।” সারা হুগলি জেলা এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

- Advertisement -
Latest news
Related news