নিজস্ব সংবাদদাতা: ওমিক্রন আর ডেল্টা সাঁড়াশি আক্রমনের মুখে রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তিনদিনে করোনার কয়েকগুণ লাফ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের। কিন্তু এরই মধ্যে চলে এসেছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। করোনার জেরে গতবছর এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করতে পারেনি হোটেলগুলি। এবার লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রত্যহৃত হওয়ায় সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবগুলি কিন্তু করোনা ফের বাড়তে শুরু করায় সেই অনুষ্ঠানে রাশ টানা হচ্ছে বলে জানিয়ে দিল খড়গপুরের বিভিন্ন হোটেল।
খড়গপুর ইন্দায় অবস্থিত হোটেল রিলুক এবছরই প্রথম আয়োজন করেছে বর্ষবরণের। হোটেল কর্তৃপক্ষ নয়, অনুষ্ঠানের আয়োজক হোটেলের গেষ্ট বা নিয়মিত খরিদ্দারদের। হোটেলের ম্যানেজার দেবজ্যোতি অধিকারী জানিয়েছেন, আমরা আমাদের সম্মানিত অতিথিদের সাহায্য করছি মাত্র। বর্ষবরণে আয়োজনে যাতে কোভিড প্রটোকল কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা দেখছি আমরা। আমাদের ব্যংকোয়েট হলটিতে ১২০জনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা তার অর্ধেক ৬০জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছি। স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকছে। অতিথিরা মাস্ক পরেই আসবেন কিন্তু তারপরও যদি কারও মাস্ক প্রয়োজন হয় আমরা সরবরাহ করব।
খড়গপুর শহর লাগোয়া রূপনারায়নপুরে অভিজাত হোটেল গ্রীনল্যান্ড। মূখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে এলে সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে রাত্রিবাস করতে হলে এই হোটেলেই করে থাকেন। জেলার অন্যতম অভিজাত এই হোটেলের মালিক কাঞ্চন মাসন্ত জানালেন, ‘গত বছর করোনার কারনে আমরা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করিনি। আমাদের অতিথিদের জন্য এমনকি আমাদের জন্যও সেটা খুবই আক্ষেপের ছিল। কিন্তু আমাদের অতিথিদের স্বাস্থ্য আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। সরকারেরও বিধিনিষেধ ছিল। এবার অতিথিদের চাহিদায় ফের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা ব্যংকোয়েট হলের বদলে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। অনেকেই জায়গা দেওয়া যেত তবে ২০০জনের বেশি আমরা এবার আ্যলাও করতে পারছিনা। আবারও বলছি আমাদের কাছে অতিথিদের স্বাস্থ্যই অগ্রাধিকার। কোভিড প্রটোকল মেনেই অনুষ্ঠান হবে।’
খড়গপুর শহরের আরও ছোটবড় হোটেল রেস্তোরাঁয় যেমন ওয়ান্ডার-ইন, গার্ডেন-ইন, শিবানী, হোটেল পার্ক, ওয়াল্ড্রফ ইত্যাদিতে নিজেদের মত করে বর্ষবরণ, স্পেশাল ডিস ইত্যাদির আয়োজন করেছে। সবাই জানিয়েছে সীমিত সংখ্যক খরিদ্দার রাখা হচ্ছে ওই দিন। পুলিশের পক্ষ থেকেও কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে যাতে কোথাও ভিড় না হয় সেদিকে। খড়গপুর শহর ও খড়গপুর গ্রামীন দুই থানার পক্ষ থেকেই শহর ও শহরতলির হোটেল রেস্তোরাঁর পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও আইনশৃঙ্খলার ওপর। অধিক রাত অবধি কাউকে শহরের রাস্তায় বরদাস্ত করা হবেনা বলে জানানো হয়েছে।