নিজস্ব সংবাদদাতা: বোধহয় এটাই বাকি ছিল দেখার! মৃতের নাম ভোটার তালিকায় থাকে এমনকি সেই ভোটার ভোটও দিয়ে যায় এমন ঘটনা দেখে দেখে চোখ পচে গেছে বাঙালির। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে এমন ঘটনা শুনেছে কখনও কেউ? এবার তৃনমূল কংগ্রেসের দৌলতে তাও দেখল বাঙালি আর তাকে ঘিরেই জোর খিল্লি বাংলার ভোটরঙ্গে।
বজবজ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ২ নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে এক মৃত ব্যক্তির। যে তালিকায় সই রয়েছে খোদ পার্থ চ্যাটার্জী আর সুব্রত বক্সীর! এ’নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই, মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রথম তালিকায় থাকা তৃণমূল প্রার্থীরা। আর তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সব মিলিয়ে বজবজ পৌরসভাই রাজ্যের একমাত্র পৌরসভা যেখানে তৃনমূলের অফিসিয়াল তালিকার বদলে পিকে তৈরি প্রথম তালিকা নিয়েই লড়ছে তৃনমূল।
বিষয়টির ব্যখ্যা দিতে গিয়ে বজবজের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা শেখ লুৎফার হোসেন বলেন, “সম্ভবত প্রিন্টিং মিস্টেকের জন্য মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায়, আমরা এমপি অফিসের নির্দেশ মতো প্রথম তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তারা মনোনয়ন জমা দিচ্ছে।’’ কিন্তু প্রিটিং মিস্টেক থাকলেও জ্যান্ত লোকটি গেল কোথায়? সে প্রশ্নের অবশ্য জবাব মেলেনি। এদিকে প্রথম বনাম দ্বিতীয় তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কোন্দলও শুরু হয়েছে জোরদার।
প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও, দ্বিতীয় তালিকায় নাম ছিল বজবজ পুরসভার দু’বারের কাউন্সিলর দীপক ঘোষের। প্রথম তালিকায় নাম থাকারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই অদ্ভুত কান্ডকে ঘিরে তৃণমূলে প্রার্থী অসন্তোষের আগুনে পেট্রোল ঢালতে কসুর করেনি বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটু। বলেছেন, তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর, ফের বিভ্রান্তি, এটা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি, দ্বিতীয় তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কারা ঘাসফুল প্রতীকে লড়বেন, তা নেতৃত্বই ঠিক করবে। অবশ্য বিতর্ক শুরু হতেই, সোমবার প্রথম তালিকায় থাকা প্রার্থীদের দলীয় সিম্বল দেওয়া হয়। তাঁরাই মনোনয়নপত্র জমা দেন। দল যেভাবে বিষয়টিকে সামলাকনা কেন আপাততঃ পাড়ায় পাড়ায় বৈঠকী আড্ডায় হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে বিষয়টি। দলের ভেতরেও খোঁজ চলছে কী ভাবে কে ওই নাম পাঠালো সেই ব্যক্তির।