Saturday, July 27, 2024

Bengal BJP: ১লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে টিকিট, জিতিয়ে দেওয়া হবে তৃনমূলের সাথে সেটিং করে! বিজেপি নেতার অডিও ফাঁস করে দাবি শাসকদলের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে টিকিট! রাজ্যে পুরনির্বাচন শুরুর মুখেই এক বিজেপি নেতার অডিও ক্লিপিং ভাইরাল হতেই হুলুস্থুল রাজ্য রাজনীতি। সদ্য হয়ে যাওয়া রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে টাকা আর নারীর বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ এনেছেন বাংলার প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। যে কারনে যোগ্য প্রার্থীর অভাবে দলের ভরাডুবি বলে শ্রী রায় মন্তব্য করে ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী মাসে রাজ্যে হাওড়া ও কলকাতা পুরনির্বাচনের আগেই বিজেপি যুব নেতার কলরেকর্ড ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি যে অন্যরকম দল নয় সেটাই উঠে আসছে রাজনীতিকদের বক্তব্যে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

দুই ব্যক্তির মধ্যে সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপিংটি ভাইরাল হয়েছে রবিবার, ১৪ই নভেম্বর। যেখানে শোনা যাচ্ছে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে পুরভোটের টিকিট নিয়ে। এরমধ্যে ১জন বিজেপির যুবনেতা প্রীতম সরকার বলে অভিযোগ। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি KGP বাংলা। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি  সভাপতি শঙ্কর শিকদারের জ্ঞাতসারে এই কথোপকথন হয়েছে। যদিও, পুরোপুরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি (BJP)। পাল্টা শাসক শিবিরের (TMC) দাবি,  এই অডিয়ো ক্লিপ সামনে আসতেই অভিযোগ অস্বীকার করছে বিজেপি।

ওই ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা বিজেপি যুব নেতা বলে দাবি করা ওই কণ্ঠস্বরে শোনা যাচ্ছে, একজন টিকিট প্রার্থীকে বলা হচ্ছে, “প্রতি ক্যান্ডিটেড ১ লাখ টাকা করে অন্তত দাও”, আরও বলা হচ্ছে, “একদম হবে। এবং সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে জেতানোর যতরকম চেষ্টা, সব করা হবে।” পাশাপাশি, টিকিট প্রার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতেও শোনা গিয়েছে। অন্যদিকের টিকিট প্রার্থী কে অবশ্য সনাক্ত করা হয়নি। এই অডিয়ো ক্লিপটিকে ‘চক্রান্ত’ বলেই দাবি করলেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার।

শিকদার বলেন, “কিছুদিন আগে আমাকে নিয়ে একটা ফ্লেক্স বানিয়েও এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। আজ আবার সেই অডিয়ো এল। এরকম প্রীতম সরকারের মতো কত কত প্রীতম সরকার কার্যকর্তা আমার পাশে ঘুরে বেড়ায়। কে কীভাবে কথা বলবে তার দায়িত্ব তো আমি নিয়ে রাখিনি।আমি এরকম ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমি নিজে এই ধরনের ঘটনার বিরোধী। কেউ যদি এইধরনের কোনও মন্তব্য করে থাকেন, তবে তাঁর উপযুুুক্ত শাস্তি হবে। ”

এখানেই না থেমে শঙ্কর আর বলেন, “যারা মনে করছে বিজেপি পুরভোটে ভাল ফল করবে, তারাই চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। নির্বাচনের আগে যাতে বিজেপির অন্দরে একটা কানাঘুষো তৈরি হয়, তার জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের নেতারাই কেউ না কেউ করেছে। যাঁরা এটা করছেন তাঁরা বিজেপির ভাল চায় না বলে এই কাজ করেছেন।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজেপি যুব নেতা প্রীতম সরকার বলেন, “গতকাল রাত্রে আমার কাছে অডিয়ো ক্লিপটি আসে। আমার ছবি  ব্যবহার করে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আমাদের কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। কে করেছে জানা নেই। কিছুদিন আগেও আমাদের জেলা সভাপতির নামে এই ধরনের রাতের অন্ধকারে ফ্লেক্স দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনের পথেই হাঁটব।”

বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও জানিয়েছেন, প্রীতম সরকার নামে এই জনৈক নেতা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে তিনি বিজেপিতে ছিলেন না। ছবিটি প্রীতমের হলেও কণ্ঠস্বরটিও তাঁর কি না তা স্পষ্ট নয় বলেই দাবি শমীকের। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ভাইরাল ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, পুরসভা নির্বাচনের আগে কী করে প্রার্থী কেনা হচ্ছা বিজেপির পক্ষ থেকে। ঘটনায়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “তথাগত রায় নিজেই তো টাকার খেলার কথা বলেছেন। এতে আর নতুন কী রয়েছে। বিজেপি যে টাকা দিয়ে প্রার্থী কেনে এই কথা তো দলের নেতাই বলেছেন।”

- Advertisement -
Latest news
Related news