Saturday, July 27, 2024

Gujrat police in TMC Leader House: গুজরাটে সোনা চুরি কান্ডে ঘাটালের সাংসদ দেবের প্রতিনিধি ও তৃনমূল নেতার রাম বাড়িতে হানা গুজরাট পুলিশের! এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: গুজরাট পুলিশ হানা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল তৃনমূল নেতার বাড়িতে। জানা গেছে গুজরাট থেকে চুরি যাওয়া সোনার একটি বড় অংশ রয়েছে ওই নেতার কাছে, অভিযুক্ত চোরের কাছ থেকে এমনই স্বীকারোক্তি মেলার পরই মঙ্গলবার গুজরাট পুলিশ ঘাটাল পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ওই নেতার বাড়িতে হানা দেয়। চোরাই সোনা রাখায় অভিযুক্ত এই নেতা রামপদ মান্না ঘাটাল সংসদীয় ক্ষেত্রের সাংসদ অভিনেতা দেবের সাংসদ প্রতিনিধি। শুধু তাই নয় তাঁর স্ত্রী রূপা মান্না ঘাটালের তৃনমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘাটাল তথা সমগ্র পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়েই।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে কয়েক মাস আগে গুজরাট থেকে প্রায় দুকেজি সোনা চুরি করে পালিয়ে আসে ঘাটালের এক ব্যক্তি। গুজরাটের সেই দোকান মালিক বানেশ্বর জানার অভিযোগের ভিত্তিতে গুজরাটের পুলিশ কর্মীরা এসে ঘাটালের আড়গোড়া এলাকা থেকে তাপস মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান গুজরাটে। তাপস মন্ডল পুলিশকে জানায়, সে ৫০ লক্ষ টাকা এবং ৯৭০ গ্রাম সোনা দিয়েছিলেন রাম মান্নাকে। সেই স্বীকারোক্তি পেয়েই মঙ্গলবার গুজরাট পুলিশ রামপদ মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে ঘাটালে।

জানা গেছে ঘাটাল থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে গুজরাট পুলিশ পৌঁছে যায় ঘাটাল পৌরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কুশপাতা এলাকায় রাম মান্নার বাড়িতে। বাড়িতে ছিলেন না রাম মান্না। রাম বাবুর স্ত্রী রুপা মান্নার সাথে দীর্ঘক্ষণের কথাবার্তা হয় পুলিশকর্মীদের। রামপদ মান্নার স্ত্রী তথা তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা মান্না জানান যে রামবাবু দলীয় কাজে বাইরে আছেন। রুপা দেবীর সাথে কথা বলে আবার ফিরে আসে ঘাটাল থানায়। এই ঘটনায় ঘাটাল জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস জানিয়েছেন, এটা নতুন ঘটনা নয়, তৃনমূলের নেতাদের অধিকাংশই এভাবেই চুরি চামারি করে বড়লোক হয়ে বসে রয়েছেন। কেউ যেমন জনগনের টাকা চুরি করছেন কেউ তেমন চোরাই মাল কিনছেন। ঘাটালের মানুষের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। এই কারনেই তো ঘাটাল এবার বিধানসভায় তৃণমূলকে প্রত্যাক্ষান করেছে।

রামপদ মান্না জানিয়েছেন, এটা পুরোপুরি চক্রান্ত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আমার আত্মীয় হন। সেই কারণেই হয়ত আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলামনা। ওনারা একটা ফোন নম্বর দিয়ে গেছেন, আমি যোগাযোগ করব ওঁদের সাথে। আপনারা পরবর্তী কালে জানবেন আমি নিরপরাধ।

- Advertisement -
Latest news
Related news