নিজস্ব সংবাদদাতা: আর কয়েকদিন পরেই হোলি (Holi) কিংবা দোল। রঙে রঙে মেতে ওঠার দিন। তার আগের রাতে বুড়ি পোড়ানো বা হোলিকা দহন। সেকথা মাথায় রেখেই কোভিড নিষেধাজ্ঞা (Covid Restrictions) শিথিল করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)।শুক্রবার এমনই একটি বিজ্ঞপ্তিতে জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/03/FB_IMG_1647001289193.jpg)
পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী রোগ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যে ১৮ তারিখের আগের রাত্রি ১২টা থেকে ভোর ৫টা অবধি “হোলি কা দহন” উপলক্ষে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হল। অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকা মতে বৃহস্পতিবার রাত গড়িয়ে ১২টা বাজার পর থেকে শুক্রবার ভোর ৫টা অবধি নাইট কার্ফ্যূ থাকছেনা।
গত সপ্তাহেই নতুন করে রাজ্য জুড়ে বিধি নিষেধের যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তাতে আগামী ১৫ই মার্চ অবধি তা বলবৎ থাকার কথা। সেই নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত রাস্তায় বেরুনোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । নিয়ন্ত্রণ রয়েছে গাড়ি চলাচলের ওপরও।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/03/FB_IMG_1647001316269.jpg)
এছাড়াও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধির দিকে খেয়াল রাখতে হবে সাধারণ মানুষকে। বিধি ভাঙলে তার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই হুঁশিয়ারি প্রশাসনের। তবে নাইট কার্ফু যে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না, সে তথ্যও দিয়েছে নবান্ন।
বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দেশের জনজীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল আর কলেজ। রেস্তোরাঁ থেকে মল সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দ। এই অবস্থাতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না। জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই।