Saturday, July 27, 2024

Bengal Blast: বাংলায় ফের বিস্ফোরণ , ছিন্নভিন্ন ৩ দেহ ! লোকালয়ের মধ্যেই চলছিল বারুদ মজুদ

According to locals, the blast was so intense that the windows of several nearby houses were shattered and the bodies fell about 200 meters away from the site of the blast. The concrete roof collapsed due to the explosion. The bodies have been sent for autopsy. Upon receiving the news, a fire engine came to the spot. Later, the police force of Nodakhali police station also came to the spot. The initial estimate of the police was that the explosion took place when the ammunition stored in the factory caught fire.

- Advertisement -spot_imgspot_img
বিস্ফোরণ স্থল দেখতে মানুষের ভিড়

নিজস্ব সংবাদদাতা: বারংবার আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের দাবি পুলিশকেও বলেছিলেন ওই কারখানা বন্ধ করতে কিন্তু কাউকেই গ্রাহ‍্য করেনি বাজি কারখানার মালিক। বহাল তবিয়তে গত ১০বছর ধরেই লোকালয়ে চালিয়ে আসছিল বাজি কারখানাটি। বুধবার সকালে সেই বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। অগ্নিদগ্ধ, ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ৩টি দেহ, যারমধ্যে রয়েছেন খোদ বাজি কারখানার মালিক। বাংলায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে আরও একটি জায়গার নাম যুক্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নোদাখালির মোহনপুর।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া তিনটি মৃতদেহ হল বাজি কারখানার মালিক অসীম মণ্ডল, অতিথি হালদার এবং কাকলি মিদ্যার। প্রত্যেকেই মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। সকাল ৮টা নাগাদ বিস্ফোরনে উড়ে গিয়েছে বাড়ির চালা। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, অসীম মণ্ডলের বাড়িতে বাজি তৈরি হত। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। অসীম ও তাঁর কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তিনটি দেহ। দেহাংশ ছিটকে গিয়ে পড়ে বেশ কিছুটা দূরে। বাজির মশলা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।

পুলিশের মতে, বাড়ির মালিক অসীম মণ্ডল সম্ভবত আতশবাজি (Firecrackers) তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিস্ফোরক স্তুপ করে রেখেছিলেন। আজ সকালে যার বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অসীম গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় অবৈধ বাজি তৈরির কারখানা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটি একটি আবাসিক এলাকা এবং আমাদের আশঙ্কা ছিল যে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আমরা তাঁকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছিলাম এবং পুলিশকেও জানিয়েছিলাম, কিন্তু কিছুই হয়নি।”

স্থানীয় লোকজনের মতে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং মৃতদেহগুলি বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের জেরে কংক্রিটের ছাদ ধসে পড়ে। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। পরে নোদাখালি থানার পুলিশ বাহিনীও ঘটনাস্থলে চলে আসে। কারখানায় মজুত করা বারুদে আগুন লেগে যাওয়াতেই বিস্ফোরণ বড়সড় আকার ধারণ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। প্রশ্ন উঠছে নিহত অসীমের মাথায় কাদের হাত ছিল যে মানুষের আপত্তি উড়িয়ে লোকালয়ে বাজির কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিল?

- Advertisement -
Latest news
Related news