নিজস্ব সংবাদদাতা: দাদা, বৌদি, ভাই, ভাইজি মিলিয়ে জমজমাট পরিবারের সাথেই দিঘায় বেড়াতে এসে আত্মহত্যা করলেন মাত্র ২২ বছরের এক তরুণ। আর পর মুহুর্তেই আনন্দ হইচইয়ের পরিবার ডুবে গেল নিদারুণ শোকে। গোটা ঘটনায় হতবাক পরিবার। কেন, মনের কোন কোনায় আত্মহত্যার সাধ জেগে উঠেছিল ওই তরুনের ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেনা পরিবারের লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত তরুনের নাম জয় কর্মকার। উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থানার গুমা নিবেদিতা পল্লীর বাসিন্দা জয় স্থানীয় একটি গহনা দোকানের কারিগর ছিলেন। অন্ততঃ বেকারত্বের জ্বালা ছিলনা তাঁর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার সকালে দাদা আশিস, ভাই সাগর ছাড়াও বৌদি ও ভাইজি সহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দিঘায় এসে পৌঁছান জয়। তারপর নিউ দিঘার একটি হোটেল ভাড়া করেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতেই ওই হোটেলের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ । দিঘা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় পরিবারের সদস্যরা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় বেড়াতে বেরুলেও শরীর ভালো যাচ্ছেনা এমনটা বলে হোটেলেই থেকে যান জয়। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ হোটেলে ফিরে আসেন বাড়ির লোকজন। দরজা খোলার জন্য জয়কে ডাকাডাকি করেন তাঁরা। সাড়া না পেয়ে হোটেল কর্মচারীদের ডাকেন তাঁরা। তারপর দরজা ভাঙা হলে সিলিং ফ্যানে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। ফাঁস থেকে নামিয়ে দ্রুত নিয়ে আসা হয় দিঘা হাসপাতালে। সেখানে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মৃতের ভাই সাগর কর্মকার বলেন, ‘দাদা কেন একাজ করতে গেল আমরা বুঝতে পারছিনা। সন্ধেয় আমরা ঘুরতে গেলেও শরীর ভাল নেই বলে ও একাই হোটেলে থেকে গিয়েছিল।ও এমন কাজ করতে পারে বুঝতে পারলে ওকে একা রেখে যেতাম না।’ মানসিক অবসাদের জেরে যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, ‘ যুবকটি বাড়ির লোকেদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিল।মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করছে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ।’