নিজস্ব সংবাদদাতা: মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে খড়গপুর শহর থেকে ২ গৃহবধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, স্বামীর অবর্তমানে শহরের বিভিন্ন অংশে মাদক চালানের কারবার করছিলেন ওই দুই গৃহবধূ। পুলিশের দাবি এই একই অভিযোগে মাস খানেক আগে ওই দুই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই দুই সাকরেদ ধরা পড়ার পর থেকেই খড়গপুর শহরে ড্রাগ ব্যবসা স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ফের পুলিশ জানতে পারে যে ধীরে ধীরে আবার চাঙ্গা হচ্ছে ড্রাগের কারবার। পুলিশের নিজস্ব সোর্স আর গোয়েন্দারা খবর নিতে গিয়ে দেখেন সেই ড্রাগ ব্যবসার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তাঁদের স্ত্রীরাই। লুকিয়ে চুরিয়ে ফের শহর জুড়ে মাদক দ্রব্য বিক্রি ও পাচারের কাজ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এরপরই মঙ্গলবার রাতে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে বামাল গ্রেফতার করা হয় ওই দুই মহিলাকে। ধৃত মহিলাদের নাম আরসিয়া বিবি(৩৫) ও আখতারি বিবি(৩২)।
খড়গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “টাউন থানার পুলিশ ও মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তৈরি উইনার্স টীম অভিযান চালায় খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া দুটি এলাকায়। সেখানে দুটি বাড়িতে হানা দিয়ে দুই মহিলাকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তারসাথে আটক করা হয়েছে কোডাইন মিক্সচার লিকুইড। দুজনেই খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর ও কমলনগর এলাকায়।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন ” একসময় এই এলাকাগুলিতে মাদক দ্রব্য বিক্রি ও পাচারের রমরমা ছিল। লাগাতার অভিযানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন এই কারবারে যুক্ত পুরুষরা জেল হাজতে থাকায় বাড়ির মহিলারা দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে দুই মহিলাকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। এই অভিযান চলবে।”
বুধবার ধৃত দুই মহিলাকে জেলা আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় মাদক দ্রব্য বিক্রি ও পাচারের। গত কয়েক মাস ধরে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ লাগাতার অভিযান চালায়। তাতে অনেকেই ধরা পড়েছে। কিন্তু তারপরেও এই মাদক দ্রব্য বিক্রি ও পাচারের কারবার বন্ধ করা যায় নি। ফলে পুলিশ তৎপর হয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তৈরি উইনার্স টীম ও খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ অভিযান চালায়। জানা গিয়েছে এই দুই মহিলার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক তৈরীর এই তরল পদার্থ ছাড়াও পাউডার ও ডেনড্রাইটের বেশ কয়েকটি বড় টিউব বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে ড্রাগ পাচারের মত অপরাধে মহিলাদের জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্নও পুলিশ।