নিজস্ব সংবাদদাতা: পাক্কা ১০দিন পরে শীত ফিরে এল খড়গপুর মেদিনীপুরে, ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো জেলাই। এ মরশুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রথম দুই শহরে পরিলক্ষিত হয়েছিল ১৮ই নম্ভেম্বর। শীতের পারদ গড়িয়ে নেমেছিল 15.09ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তারপর নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত আর পূবালি হওয়ার চাপে উধাও হয়ে গিয়েছিল শীত। শনিবার, ২৭শে নভেম্বর সেই পারদ ফের গড়াতে গড়াতে 15.71 ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে এসে থেমেছে। শুক্রবার রাত ৯টার অনুভূতি বলছে রবিবার 14 ডিগ্রির ঘরে নেমে যেতে চলেছে সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পরেই খড়কুটো জোগাড় করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে খড়গপুর শহরের চাঁদমারি থেকে বোগদা। ইন্দা কলেজ ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের দুধারে চৌরঙ্গী অবধি ছোটখাটো ঝুপড়ির পাশেও আগুন জ্বালিয়ে শরীর সেঁকতে দেখা গেছে মানুষকে। নিমপুরা, মালঞ্চ আর আরামবাটির হাটেও আগুন সেঁকার ধুম পড়েছে। মেদিনীপুর শহরের গির্জা থেকে বাসস্ট্যান্ড, কেরানিতলা থেকে রাঙামাটি ফ্লাইওভার স্থানে স্থানে আগুনকে ঘিরে জটলা নজরে পড়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাততঃ কোনও নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তর লক্ষণ নেই দক্ষিনবঙ্গে। উত্তুরে হওয়ার চাপে পিছু হটেছে পূবালি হাওয়া। বাতাসে সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা নেমে এসেছে ৪৫ শতাংশে। ফলে মেঘমুক্ত হতে চলেছে আকাশ। উত্তুরে হওয়া বইছে ৪ কিলোমিটার প্রতিঘন্টায়। হওয়ার এই গতি আরও একটু বাড়তে চলেছে। পুরো মেঘমুক্তি আর জলীয়বাষ্প আর একটু কমলেই জোরালো ঠান্ডা নিয়ে আসবে উত্তুরে হওয়া। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধিই এরকমটাই চলবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এমনিতেই বর্ষা এবার প্রলম্বিত হয়েছে আর বৃষ্টিপাতের পরিমানও বেশি হয়েছে বলে শীতের পরিমাণও এবার বাড়তে চলেছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। ফলে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি অর্থাৎ বর্ষশেষ থেকে বর্ষবরণ ভালই কাটতে চলেছে। মাঝখানে ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের উৎসবও কাটতে চলেছে উপভোগ্য শীত দিয়েই। শনিবার হাফ সোয়েটার কিংবা চাদর পরতে দেখা গেছে অনেককেই। বাইক আরোহীরা উইনচিটার ছড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে অবশেষে শীত নামছে দুই শহরে।