Saturday, July 27, 2024

Bengal Poll: পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃনমূল প্রার্থীকে লাঠি পেটা দলেরই নেতার! প্রচারে নামছেননা একাধিক নেতা, পৌরভোটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতে মাত্র ৫দিন, বাংলার ১০৮ পৌরসভার ১০৮টাই দখল নিতে হবে এমনই শ্লোগান তুলে ময়দানে নেমেছে শাসকদল কিন্তু তারমধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল। কোথাও মাঠেই নামেননি একদল নেতা তো কোথাও দলের প্রার্থীকেই লাঠিপেটা করে গুরুতর করছেন দলেরই আরেক নেতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় এমনই ঘটনার স্বাক্ষী হচ্ছেন ভোটাররা। জেলার ৭ পুরসভার ৫টিই ঘাটাল মহকুমায়। সেই ৫ পুরসভারই এক পুরসভা খড়ার। শনিবার সেই খড়ার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে দলেরই আরেক নেতার দ্বারা প্রহৃত হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

জানা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন পৌরসভার বর্তমান পৌর প্রশাসক অরূপ রায়। এদিন তাঁর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চলছিল। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগের জন্য সেই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন রায়। দুয়ারে সরকার শিবিরে হাজির ছিলেন তৃনমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অনুপ জানা। দলীয় কর্মীরা উপস্থিত লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের ফর্ম ফিলাপ করছিলেন। অনুপ জানা তদারকি করছিলেন কর্মীদের কাজে। অরুপ রায় সেখানে পৌঁছোতেই দু’জনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক থেকে শুরু হয় মারধর, লাঠালাঠি। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায় ও অনুপ জানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । জানা গেছে এবার নির্বাচনী প্রচারে অংশই নেননি অনুপ জানা।

অন্যদিকে চন্দ্রকোনা পৌরসভায় চিত্র আরেক রকম। ১২ টি ওয়ার্ডের জন্য যখন শাসকদলের প্রার্থীদের সমর্থনে জোর কদমে প্রচার চলছে । কিন্তু প্রচারে নামেননি চন্দ্রকোনা ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জগজিৎ সরকার, চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ ও তাদের অনুগামীরা। দলের ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নির্বাচনী প্রচারে না নামায় তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। জলের মত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে চন্দ্রকোনা শহর তৃণমূল সভাপতি কাম বিধায়ক বনাম ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গোষ্ঠী কোন্দল।

যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা নির্বাচনী লড়াইয়ের দায়িত্বে থাকা আশিষ হুদাইত জানান, “ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়ত কেউ কেউ এখনও প্রচারে নামতে পারেনি। আগামীদিনে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে।” অন্যদিকে জেলা সভাপতির আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন প্রচারে সামিল না হওয়া নেতারা।

চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লকের তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ পরিস্কার বলেছেন, ‘ পৌর নির্বাচন ঘোষণার সাথে সাথেই আমাদের না ডাকলেও জেলা সভাপতি আমাদের ডেকে ছিলেন। আমরা বেশ কয়েকটি মিটিংয়ে গিয়েও ছিলাম।কিন্তু সেখানে যে চরম অসম্মান জনক কথাবার্তা আমাদের বিপক্ষ শিবির বা বিধায়ক শিবিরের তরফে বলা হয়েছে। তারপর এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়না। কারন পুর এলাকার নেতারা চাননা যে ব্লক সংগঠনের কোনও নেতা নির্বাচনে মাথা না গলাক।’

ঘটনা হল চন্দ্রকোনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সাঁতরা ও চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া এক গোষ্ঠীর নেতা আর অপরদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ ও ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকার শাসকদলের আর এক গোষ্ঠী। সেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বই এখন প্রকাশ্যে এসেছে। চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া বলেন, ‘বিধায়ক হিসাবে সমস্ত নেতৃত্ব কর্মীদের প্রচারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম।কেউ যদি না এসে থাকে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”

- Advertisement -
Latest news
Related news