নিজস্ব সংবাদদাতা: কথায় বলে পচা ভাদ্র। সেই ভাদ্রই যেন দেমাকে ফেটে পড়েছে শুরু থেকেই। ১লা ভাদ্র বুধবার আর ২রা ভাদ্র বৃহস্পতিবার অসম্ভব আর অসহ্য গরমে সেদ্ধ হচ্ছে খড়গপুর ও মেদিনীপুর সহ দক্ষিনবঙ্গে। গত দুদিন ধরে চরম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই শহর। সেই গরমের অনুভব সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই। কিন্তু খুশির খবরও এসেছে তারই মধ্যে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আরও একটি নিম্নচাপের জের আসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। আর তার জেরেই আগামী ২দিন খড়গপুর, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের আবহাওয়া অনেকটাই শীতল হতে চলেছে। তার লক্ষণ দেখা গিয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল থেকে মেঘলা দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকার আকাশ। আর সন্ধ্যাবেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর, নন্দকুমার, হলদিয়াতে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে দিঘাতেও।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পচা ভাদ্রের দেমাক কাটাতে একটি ঘূর্ণাবর্ত বাংলা মুখী হয়েছে এবং এই মুহূর্তে সেই ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে মায়ানমারে। সেটি বাংলার দিকে এগোতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলার উপকূলে সেই ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাষ ১৮ অগস্ট থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এই নিম্নচাপ বাংলায় প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ থেকে দক্ষিণের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম দুই-২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমানে।
আবহাওয়া দফতর বলছে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই দুপুরের পর থেকে পশ্চিমের জেলাগুলি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টির ফলে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমবে। অন্যদিকে এই নিম্নচাপের কারনে শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ ১৯ ও ২০ অগস্ট মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ওপার বাংলা ছুঁয়ে এপার বাংলায় পৌঁছতে পারে দক্ষিণ মায়ানমারের সেই ঘূর্ণাবর্ত। তাই আগাম সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সারাদিনই আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৫ ডিগ্রি এবং ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে। যে কারনে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। যে কারনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে।