নিজস্ব সংবাদদাতা: জুলাইয়ের শেষের পর আগস্টের শেষ বেলাতেও ডুববে পথ ঘাট? এমনই আশঙ্কায় রয়েছেন খড়গপুর শহরের ইন্দা এলাকার বাসিন্দারা। ইন্দার বিদ্যাসাগরপুর, নিউটাউন, সারদাপল্লী, আনন্দনগর কিংবা শরৎপল্লী এলাকার মাটি এখনও ভালো করে শুকিয়ে ওঠেনি জুলাইয়ের শেষ বেলায় তিনদিনের ভারী বৃষ্টির ধকল কাটিয়ে তারই মধ্যে আগস্টের শেষ বেলার বৃষ্টি আশঙ্কার মেঘ জমিয়েছে ইন্দাবাসীর মনে। মঙ্গলবার থেকে বিকাল হলেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার বিকালেও ঢেলেছে এক পশলা। সেই জল সরতে না সরতে ফের বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নেমে ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছে ইন্দার একাংশ আর সেই বৃষ্টিতেই জল জমে থৈ থৈ কমলাকেবিনের একাংশ থেকে শুরু করে শরৎপল্লী ব্যাঙ্কপাড়া।
খড়গপুর ১নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকার মানুষের আশঙ্কা এর ওপর আবারও বৃষ্টি হলে ঠিক আগের মতই জলবন্দি হয়ে পড়তে হবে মানুষকে, ঠিক যেমনটা জুলাই মাসে হতে হয়েছিল। মানুষের অভিযোগ জুলাইয়ের সেই ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে একটুও শিক্ষা নেয়নি পৌরসভা। এলাকার নালা নর্দমা পরিষ্কার সহ জলনিকাশি ব্যবস্থার কোনও উন্নতি ঘটানো হয়নি ফলে যা হবার তাই হয়েছে। আগে ভারী বৃষ্টি হলে তবে জল জমত কিন্তু এখন অল্প বৃষ্টিতেই জল থৈ থৈ করছে বাড়ির সামনে। চারপাশ বন্ধ হয়ে রয়েছে, জল নড়ার উপায় নেই।
গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের বারুদের ওপর বসে রয়েছে ২নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দ নগরের বাসিন্দারা। জুলাইয়ের পর থেকে জলই নামেনি এলাকার বহু রাস্তাঘাট থেকেই। ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া খোসলা ইলকেট্রনিক্স থেকে ডান দিকে নামলেই চোখে পড়বে রাস্তার ওপর সেই জল। জল ঠেঙিয়েই মানুষকে যেতে হচ্ছে বাজার হাট, অফিস আদালত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন মাসের পর মাস ধরে এই নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। এলাকায় না আছে পুরসভা না প্রশাসন। কতদিন এই জলযন্ত্রণা কাটবে কেউ জানেনা। তার ওপর নতুন করে শুরু হওয়া এই বৃষ্টির আবহ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে মানুষের। শুধু জলযন্ত্রনা নয় সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশা আর নানা পোকা মাকড়ের উপদ্রব।
আশঙ্কা জাগিয়ে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার থেকে এটি ক্রমশ দক্ষিণের দিকে সরবে। দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। দক্ষিণবঙ্গেও আজ দিনভর মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের বেশ কিছু জেলাতে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কাল থেকে গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে।