Saturday, July 27, 2024

Accident Killed Two: পশ্চিম মেদিনীপুরে দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত দুই হেলমেটহীন বাইক চালক ! আশঙ্কায় আরও ১

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুরন্ত গতিতে থাকা এক বাইকের সাথে অন্য একটি বাইকের সংঘর্ষ, মৃত্যু হল ২ বাইক চালকেরই। হেলমেট ছিলনা কারুরই মাথায়। ফলে শক্ত পিচের রাস্তায় মাথা আছড়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনেরই। নাক, কান দিয়ে রক্ত গড়িয়েও পড়তে দেখা গিয়েছে। এক বাইকের পেছনে থাকা আরও একজন মূল রাস্তা থেকে একটু দূরে, রাস্তার পাশের ঘাসের মধ্যে ছিটকে পড়ায় আপাততঃ প্রাণ বেঁচেছে তাঁর কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। সোমবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা- গড়বেতা রাজ্য সড়কের আমশোল এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতরা হলেন রাম ঘোষ (৪৫) এবং শ্যামসুন্দর কিস্কু। শ্যামসুন্দরের বয়স তিরিশের মধ্যে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শ্যামসুন্দরের বাড়ি গড়বেতা থানার রসকুন্ডু এলাকার বলরামপুর গ্রামে। শ্যামসুন্দর তাঁর সঙ্গী লক্ষ্মণ সরেনের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চন্দ্রকোনা থানা এলাকার বসনছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন একটি গ্রামে গিয়েছিলেন। ভোরে সেই অনুষ্ঠান শেষে ওই রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ঠিক একই সময় নিজের আমসোল কলোনির বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে চন্দ্রকোনা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় রঙের মিস্ত্রি রাম ঘোষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে রামের বাড়ি থেকে কয়েকশ মিটারের মধ্যেই। রাম তখন স্বাভাবিক গতির চেয়েও কম গতিতে ছিলেন এবং নিয়মমত রাস্তার বাঁদিকেই ছিলেন। শ্যামসুন্দরের গ্ল্যামার বাইকটি যেন ঝড়ের মত আছড়ে পড়ে রামের সুপার স্পেল্ন্ডার বাইকটির ওপর। মুহূর্তেই দুই চালাকই বাইক থেকে অনেকটা উঁচুতে উঠে মাথা নিচের দিক করে আছড়ে পড়েন পিচের রাস্তায়।

সংঘর্ষের আওয়াজ পেয়েই ঘটনাটি নজরে পড়ে পথ চলতি মানুষ এবং স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁরা ছুটে আসেন উদ্ধার কার্যের জন্য। আহত সমেত ৩ জনকেই পাঠানো হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই দুই বাইক চালককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আহত লক্ষনের চিকিৎসা চলছে তবে তার অবস্থা এখনও সঙ্কট জনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের ধারণা বাইক চালক শ্যামসুন্দর অধিকমাত্রায় মদ্যপান করেছিলেন বলেই বাইকের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিলনা তাঁর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে হেলমেট থাকলে কারুরই মৃত্যু হওয়ার ঘটনা ঘটত না। পুলিশের এক আধিকারিক আক্ষেপ করে বলেছেন বারংবার সতর্কতা, জরিমানা করার পরও হুঁশ ফিরছেনা এক শ্রেণীর মানুষের যার ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো যাচ্ছেনা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের মধ্যে। এঁরা নিজেরাও মরছেন এবং অপরজনকেও মারছেন। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

- Advertisement -
Latest news
Related news