Saturday, July 27, 2024

TMC: খড়গপুরে সিপিএম-বিজেপিকে ‘জুতোপেটা’ করার আহ্বান তৃনমূল নেতার! এটাই ওদের সংস্কৃতি, বলছে বিরোধীরা, মানেনা দল বলল তৃনমূল

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান : আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চাইতে এলে সিপিএম-বিজেপি নেতাদের জুতোপেটা করার জন্য কর্মীদের কাজে আহ্বান জানালেন খড়গপুর গ্রামীনের এক তৃনমূল নেতা। খড়গপুর শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গ্রামীন খড়গপুরের বলরামপুরে দলের এক সাংগঠনিক সভায় এমনই মন্তব্য করলেন ওই নেতা। যা শুনে সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা বলছেন, আপাততঃ এটাই তৃনমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কবীর সুমন যে ভাষায় কথা বলে তার বাইরে বেরুবে কী করে এরা? যদিও ঘটনাকে দুঃখ জনক বলে তৃনমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দল এই ধরনের মন্তব্যকে অনুমোদন করেনা। ওই নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব। বলরামপুরের তৃনমূল কর্মীরা বলেছেন, লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে তাঁদের। সাধারণ মানুষ এলাকার সাধারণ মানুষ যা তা বলছে আমাদের।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। ঘুরছে তৃনমূল কর্মী ও অন্যান্যদের হাতে। শনিবার খড়গপুর-২ ব্লক বা মাদপুরের অন্তর্গত পপরআড়া ৬/২ অঞ্চলের তৃনমূলের সাংগঠনিক সভায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনটা আপনাদের দেখতে হবে। সারা বছর আপনাদের বিপদে আপদে আমরাই থাকি। আমাদের বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েতরা থাকে। আর ভোটের আগে জনা কয়েক হাজির হয় ভোট চাইতে। এরা বিশ পঞ্চাশজন টাকা পয়সা দিয়ে ভোট কিনতে চায়। এরা বিজেপি সিপিএম। আমার অনুরোধ এঁরা ভোট চাইতে এলে থালায় প্রদীপ সাজিয়ে এদের বরণ করবেন। ওই থালার ওপর একটা জুতো রাখবেন। আর এলেই ঠাঁই ঠাঁই করে জুতো পেটা করবেন। জিজ্ঞাসা করবেন, বান…….., …….বাচ্চা এতদিন কোথায় ছিলি?’ ঘটনায় এতটাই হতচকিত হয়ে যান তৃনমূল কর্মীরা যে এই বক্তব্যের পর তালি বাজাতে দেখা যায়নি তাঁদের।

বলরামপুরের এক তৃনমূল নেতা বলেছেন, ‘খুবই লজ্জায় পড়ে গেছি। বলরামপুর খুবই সংস্কৃতিমনস্ক, শিক্ষিত মানুষদের গ্রাম। এই গ্রামে গান্ধীজি এসেছিলেন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি বা তৃনমূল যেই হোকনা কেন আমরা কেউই কাউকে রুচি বহির্ভূত আক্রমন করিনা। রেলগেটের মোড়ে সন্ধ্যাবেলায় অনেকেই একসাথে আড্ডা মারি। বিশুদার এটা বলা উচিত হয়নি। আমরা নিজেদের বাড়িতেই মুখ দেখাতে পারছিনা। আমাদের আপত্তির কথা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ স্থানীয় বিধায়ক অজিত মাইতি বলেছেন, আমি শুনেছি। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। আসলে বিজেপির নেতাদের যা কথা বার্তা আজকাল শুনছে হয়ত তারই প্রতিক্রিয়ায় এটা বলে ফেলেছে বিশু (বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়)। ওকে সতর্ক করা হয়েছে। ও নিজেও লজ্জিত।”

বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘তৃনমূলের চুনোপুঁটি নেতাদের এই বক্তব্যে অবাক হইনা। ওঁদের আদর্শ কবীর সুমন কী ভাষায় কথা বলে সারা দেশ জেনে গেছে। ওঁদের মদন মিত্র নিজেকে প্লেবয় বলে। তো ওরা তার চেয়ে ভালো কিছু বলবে আশা করিনা।’ পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম নেতাদের বক্তব্য, ‘ যাঁর যেরকম রুচি তিনি সেই রুচি থেকেই বলবেন। ওঁদের এক নেতা বলেছিলেন, সাপের মত মিটিয়ে মারতে। তবুও তো সিপিএম মরেনি। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওঁদের ভয় যা লুটপাট করেছে তার কী প্রতিক্রিয়া হয় তাই ভোট লুটের জন্য আগে থেকে কর্মীদের তাতিয়ে রাখছে।’

- Advertisement -
Latest news
Related news