নিজস্ব সংবাদদাতা: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, শুরু হয়েছে আয়ারাম গয়ারামের খেলা। সেই খেলায় পূর্ব মেদিনীপুরের সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃনমূল রাজ্য সাধারন সম্পাদক খেলতে নেমেছিলেন নন্দীগ্রামের পীচে। জানা গেছে প্রথম ইনিংসে তেত্রিশ রান সংগ্রহ করে আউট হয়েছেন তিনি। তৃনমূল সূত্রে জানানো হয়েছিল শুক্রবার নন্দীগ্রামের সাউদখালি মনসাবাজার এসএসকে মাঠে অনুষ্ঠিত শুক্রবার বিকেলে বিশেষ রাজনৈতিক কর্মিসভার নামে বিজেপির এক হেভিওয়েট নেতা সহ একশ জন স্থানীয় নেতা যোগ দেবেন ঘাসফুলে। জানানো হয়েছিল ২০২১ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারীর প্রধান সেনাপতি বটকৃষ্ণ দাস, বিজেপির প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি জয়দেব দাস সহ ২০ জন বুথ সভাপতি, ৪ জন শক্তি প্রমুখ সহ একশ ছোট বড় নেতা যোগ দেবেন ওই সভায় কিন্তু সাকুল্যে ৩৩ জনে দাঁড়ায় সেই যোগদান। অবশ্য যোগ দিয়েছেন জগদীশ দাস যা ক্রিকেটের পরিমাপে ৩ রান বলা যেতেই পারে। যদিও শেষ অবধি অধরাই থেকে গেল কুনাল ঘোষের ৬ রানের ওভার বাউন্ডারি বটকৃষ্ণ দাস।
কেন শেষ অবধি বটকৃষ্ণ দাস এলেন না তা নিয়ে চর্চা ও হয়েছে বিস্তর। কাল পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও বটকৃষ্ণ কেন পিছিয়ে গেলেন? সকালে উঠেই তৃনমূল নেতারা ফোন করতে শুরু করেন বটকৃষ্ণকে। কিন্তু বটকৃষ্ণের মোবাইলের সুইচ অফ। তৃনমূলের তরফে প্রচার করা হতে থাকে বটকৃষ্ণকে বাড়িতে আটকে রেখেছে বিজেপির লোকজন। ক্ষিপ্ত কুনাল ঘোষ সভাতেই বলেন, ‘ওর আসার কথা ছিল। কিন্তু ওকে বাড়িতে আটকে রেখেছে। যে বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে গোটা পৃথিবীর সামনে শুভেন্দুর মুখোশ খুলে দিয়েছে, তাকে মানসিক চাপ দিয়ে একদিন ভিতরে আটকে রাখুক। কিন্তু সে তো ভিতরে বসে মুক্তির গান গাইছে। আজ না হয় কাল সে আসবেই। তাই শুভেন্দুকে বলব, আগে ঘর সামলাও, পরে ভাববে বাংলা।’ যদিও তৃনমূল নেতাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ হাজির হয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। দেখা যায় তিনি বহাল তবিয়তেই বাড়িতে আছেন। পুলিশ তাঁকে প্রশ্ন করে, আপনাকে কেউ আটকে রেখেছে? বটকৃষ্ণ বলেন, না। ফিরে আসে পুলিশ।
প্রথম দিকে বিজেপির দলত্যাগী নেতা জগদীশ দাসও তৃনমূলের সুরে বলার চেষ্টা করেন যে বটকৃষ্ণকে আটকে রাখা হয়েছে কিন্তু পরে তিনি বলেন, ওঁর এক পরিচিত আত্মীয় মারা যাওয়ায় আসতে পারেননি। এদিন কুনাল ঘোষ ছাড়াও সভায় হাজির ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তৃনমূলের তরফে দাবি করা হয়, জয়দেব দাস-সহ নেতৃস্থানীয় ৩৩ জন সাড়ে পাঁচশো সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে কিছু মানুষকে জোর করে যোগদান করানো হয়েছে। দু’ একজন নেতা তলে তলে তৃনমূলের সঙ্গে ছিলেন,তাঁরই তৃণমূলে গেছেন। বিজেপির লড়াকু সৈনিকরা বিজেপিতেই আছেন।