নিজস্ব সংবাদদাতা : খালের মধ্যে পড়ে সারি সারি কচ্ছপের মৃতদেহ! পোশাকি নাম ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল টার্টল (Indian flapshell turtle)। এক সঙ্গে এত কচ্ছপ দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। গর্জে ওঠেন সাধারণ মানুষ থেকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী মানুষ জন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল স্থানীয় একটি রাইস মিলের জল থেকেই দূষণ ছড়াচ্ছে খালের জলে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু তদন্তে নেমে দেখা গেল অন্য জিনিস। পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে লুকিয়ে কচ্ছপ নিয়ে এসে রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসেছে স্থানীয় ২ চোরাকারবারী। তারপরই গ্রেফতার করা হল ওই দুষ্কৃতীদের।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম-পঞ্চায়েতের হাতিয়ার, ওলুয়া, বলাগেড়িয়া প্রভৃতি গ্রাম সংলগ্ন খালে শতাধিক মৃত কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে আন্তঃরাজ্য কচ্ছপ পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছে বন দপ্তর। শুক্রবার বন দপ্তর ও মারিশদা থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে দু’জন। তাদের থেকে মৃত আরও ৫৭ টি কচ্ছপও উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। শনিবার ধৃত ওলুয়ার বাসিন্দা কচ্ছপ কারবারি স্বপন নায়ক ও তার শ্যালক তেডুবির দুর্গাশঙ্কর মান্নাকে কাঁথি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে গত ১২ জুন ওড়িশা থেকে ওই কচ্ছপ নিয়ে আসার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১০৫ টি ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল টার্টল প্রজাতির কচ্ছপের মৃত্যু হয়। সেগুলিই ফেলে দেওয়া হয় হাতিয়ার, ওলুয়া, বলাগেড়িয়া প্রভৃতি গ্রাম সংলগ্ন খালে।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নামেন বাজকুলের রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল। গঠন করে বন দপ্তর।সূত্র মারফত খবর পেয়ে এরপর শুক্রবার সন্ধেয় যৌথ অভিযান চালায় বন দপ্তর ও পুলিশ। গ্রেফতার হয় ওই ২জন।