নিজস্ব সংবাদদাতা: আগস্ট মাসের শেষ দিনটি খড়গপুরবাসীর জন্য খুশির খবর বয়ে আনল। কোভিড-১৯ বা লকডাউনের কারণে প্রায় ২বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা খড়গপুর – টাটানগর মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি চালু হল। বুধবার ৩১ শে আগস্ট রাত্রি 20:40 ঘন্টায় ট্রেনটি খড়গপুর ছেড়ে গেল যা কিনা রাত 23:050 ঘন্টায় টাটানগর পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রতিদিন এই ট্রেনটি ভোর 4:35 ঘন্টায় টাটানগর ছেড়ে আসবে এবং খড়গপুর পৌঁছাবে সকাল 7:10 ঘন্টায়। এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় খড়গপুর ও টাটানগরের পাশাপাশি উপকৃত হবেন ঝাড়গ্রাম, ঘাটশিলা কিংবা গালুডির মত এলাকার মানুষরাও। খড়গপুর শহরের সঙ্গে টাটানগর বা জামসেদপুর শহরের যোগাযোগ ঘনিষ্ট। এক শহরের আত্মীয়রা অন্য শহরে বাস করেন। এছাড়াও ব্যবসায়িক কারনেও দুই শহরের মধ্যে যোগযোগ রয়েছে। এক শহরের মানুষকে কর্মসূত্রে প্রতিদিনই অন্য শহরে যাতায়াত করতে হয়! তাই এই ট্রেনটি চালু হওয়ায় খুশির হাওয়া দুই শহরেই। রেলের খড়গপুর ডিভিশন সুত্রে জানা গেছে এখন থেকে প্রতিদিনই চলবে ট্রেনটি।
অন্যদিকে পুজোর আগে খুশির খবর দিঘার জন্য! দীর্ঘদিন বাদে সৈকত শহর দিঘা যেতে ফের চালু হয়ে গেল দিঘা-পাঁশকুড়া লোকাল ট্রেন। ৩১ অগস্ট থেকে এই ট্রেনটি শুরু হল বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে।দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সপ্তাহে চারদিন— সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার, ও বৃহস্পতিবারhল দুপুর ২টো ২০ মিনিটে পাঁশকুড়া থেকে লোকাল ট্রেনটি ছাড়বে। দিঘা পৌঁছবে বিকেল ৫টা পাঁচ মিনিটে। এরপর দিঘা থেকে ওই ট্রেনটি বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে পাঁশকুড়া স্টেশনে পৌঁছবে রাত পৌনে ৮টায়।
২০২০ সালের মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পর ওই লোকাল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেনটি। করোনা পর্ব স্বাভাবিক হওয়ার পরে সাম্প্রতি দিঘাগামী কাণ্ডারী এক্সপ্রেস চালু হয়ে গিয়েছে আগের মত। এর পরেই পর্যটকদের পাশাপাশি, নিত্য যাত্রীরা দিঘা-পাঁশকুড়া লোকাল ট্রেনটি চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানান। পুনরায় আরেকটি লোকাল ট্রেন পাঁশকুড়া থেকে চালু হওয়ায় খুশি দিঘার হোটেল মালিকেরা। তাঁদের দাবি, এবার পুজোয় আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক দিঘা বেড়াতে আসবেন। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আরও একটি লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম। পুজোর মরসুম শুরু হওয়ার আগে রেল কর্তৃপক্ষ দিঘা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি।’