Saturday, July 27, 2024

Midnapore: সরকারের টাকা নেই! পশ্চিম মেদিনীপুরে চাঁদা তুলে নদীর ওপর সাঁকো বানালো গ্রামবাসীরাই

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা নেই, সরকারের ভাঁড়ার শুন্য। গত বর্ষায় ভেঙেছে একের পর এক বাঁশের সাঁকো কিন্তু সারানো হয়নি একটাও। তিন কিলোমিটারের পথ মানুষকে ঘুরে যেতে দশ বারো কিলোমিটার। বাজার, হাসপাতাল, থানা পুলিশের দরকার হলে মানুষকে মাথা খুঁড়েতে হয় সময়ের পায়ে। এমনই অবস্থা চন্দ্রকোনা থানার চোদ্দ পনেরোটা গ্রামের বাসিন্দাদের। চন্দ্রকনা ১ ব্লকের কল্ল্যা, লক্ষ্মীপুর, মৌলা ইত্যাদি ওই চোদ্দ পনেরো গ্রামের বাসিন্দাদের গ্রামের পাশেই শিলাবতী নদীর ওপর থাকা চৈতন্যপুর, কেশ্যপাল, কিষ্টপুর, খুড়শি প্রভৃতি জায়গায় থাকা বাঁশের সাঁকোগুলি ভেঙে পড়ায় মানুষের অবস্থা সংকটাপন্ন। বারংবার গ্রাম পঞ্চায়েতকে আবেদন জানিয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই সাঁকো বানানোর কাজ শুরু করেছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়শি এলাকার এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে।
মানুষের বক্তব্য গত বর্ষায় শিলাবতী নদীর জল বাড়ার ফলে ভেঙে গিয়েছিল চন্দ্রকোনার একাধিক বাঁশের ও কাঠের সাঁকো, সেই সাঁকো ভাঙার ফলে নৌকাতে যাতায়াত করছে এলাকার মানুষজন, কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন সাঁকো মেরামতের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায়, খুড়শি এলাকার মানুষজন যাতায়াতের জন্য নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ কিনে বাঁশের সাঁকো তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। খুড়শি এলাকার শিলাবতী নদীর উপর ওই বাঁসে সাঁকো দিয়েই পারাপার করে চন্দ্রকোনা এক ও দুই নম্বর ব্লকের বহু গ্রামের মানুষজন। নৌকোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই ঘটত দুর্ঘটনা, তাই গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি করার কাজ শুরু করেছে।

গ্রামবাসীদের দাবি  খুড়শি এলাকা এই সাঁকো তৈরীর কোন উদ্যোগ নেয়নি গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে ব্লক প্রশাসন, একাধিকবার জানিয়েও প্রশাসনের  হুঁস ফেরেনি, তাই আমরা নিজেরাই যাতায়াতের জন্য এই সাঁকো তৈরি করার কাজ শুরু করেছি। এমনকি সাঁকো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই বৎসর থেকে সাঁকো দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তির কাছ থেকে নেয়া হবে অর্থ বলেও জানিয়েছেন তারা। ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খাঁন বলেন গ্রাম বাসীদের সাথে কথা বলে আমরা সাঁকো তৈরীর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। যদিও সূত্র মারফত জানা গেছে শুধু একটা সাঁকো বানালেই তো হবেনা। বানাতে হলে বানাতে হবে অনেকগুলো সাঁকো। না’হলে যে গ্রামে সেতু হবেনা সেই গ্রামের মানুষ বেঁকে বসবে। কিন্তু সব সাঁকো বানানোর সংস্থান নেই গ্রাম পঞ্চায়েতের। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই কাউকেই চটাতে চায়না গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা। অতএব দায় পড়েছে গ্রামবাসীদেরই।

- Advertisement -
Latest news
Related news