Saturday, July 27, 2024

Duare Sarkar Kharagpur: দুয়ারে সরকারের শিবির বাড়ালো প্রশাসন, স্বস্তিতে খড়গপুরবাসী, প্রশাসনকে সাধুবাদ ‘আমরা বামপন্থী’র

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে আলাদা করে দিয়ে শিবির গুলিতে ভিড় কমানোর উদ্যোগ সফল হওয়ায় স্বস্তিতে খড়গপুর শহর। অন্যদিকে প্রশাসনের এই সময়োচিত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে আমরা বামপন্থী, খড়গপুর। করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে রেলশহর। তারই মধ্যে আশঙ্কা তৃতীয় ঢেউয়ের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবিরগুলিতে গাদাগাদি উপচে পড়া ভিড় মারাত্মক আশঙ্কা জাগিয়েছিল খড়গপুরবাসীর মনে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

যে কারনে আমরা বামপন্থী খড়গপুরের পক্ষ থেকে খড়গপুর মহকুমা শাসককে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল ভিড় কমাতে শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি কথাও বলা হয় মহকুমা শাসকের সাথে । নিজেদের উদ্বেগের কথা মহকুমা শাসককে জানান আমরা বামপন্থী নেতৃত্ব। আমরা বামপন্থী খড়গপুরের পক্ষ থেকে দাবি করেছেন, সেই দাবির মান্যতা দিয়েছে প্রশাসন।

আমরা বামপন্থী খড়গপুর শহরের অন্যতম নেতৃত্ব প্রদীপ ধর জানিয়েছেন, ‘ গত ১৮ই আগষ্ট আমাদের নেতৃত্বরা দেখা করে মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। অতিমারির সময়ে এই ভিড় হীতে বিপরীত হতে পারে বলে তাঁকে জানানো হয়। শুধু তাই নয় আমরা একটি বিকল্প প্রস্তাবও হাজির করেছিলাম মহকুমা শাসকের কাছে। ওই প্রস্তাবে আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম কোথায় কোথায় বিকল্প শিবির করা যেতে পারে তাই নিয়ে। খড়গপুর মহকুমা প্রশাসন সেই ভাবনার গুরুত্ব দিয়েছেন বলে ভালো লাগছে। প্রশাসনকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়ায়।’

খড়গপুর মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ‘শিবিরের মারাত্মক ভিড় আমাদেরও চিন্তায় ফেলেছিল। বিভিন্ন মানুষ, সংগঠনও আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য। আমরা লক্ষ্য করলাম দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ৭০ভাগ জুড়েই রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন। ২০ভাগ রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন এবং বাকি ১০ভাগ অন্যান্য প্রকল্পের জন্য। আমরা সেই মত পরিকল্পনা করেছি। লক্ষ্মী ভান্ডার পুরোপুরি আলাদা করে দেওয়া হয়েছে মূল শিবির থেকে। আবার মূলশিবিরেও স্বাস্থ্যসাথীর জন্য একাধিক আধিকারিক কিংবা কর্মী রাখা হয়েছে যাতে সেখানে কোনও ভাবেই বেশিক্ষণ মানুষকে দাঁড়াতে না হয়। ফলে ভীড় নিয়ন্ত্রনে আনা গেছে।’

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আমরা বামপন্থীর পক্ষে দাবি করা হয়েছিল ওয়ার্ড ভিত্তিক দুয়ারে সরকার শিবির করা হোক কিন্তু বাস্তবে সেটা করা সম্ভব হয়নি কারন তত কর্মী নেই। তবে শুধুমাত্র লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম দেওয়া এবং নেওয়ার বিষয়টি ওয়ার্ড ভিত্তিক করে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শিবির নিজ নিজ এলাকার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে করে ভিড়কে বিভাজিত করা সম্ভব হয়েছে। এরফলে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ২৩টি শিবির যেমন ছিল তেমনই রয়েছে সঙ্গে দু’দফায় আরও ৩৮টি শিবির সংযুক্ত করতে হয়েছে। যেভাবেই হোকনা কেন দিনের শেষে শিবিরগুলোতে সেই উপচে পড়া ভিড় না থাকায় স্বস্তিতে খড়গপুর শহরবাসী ও প্রশাসন।

এদিকে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিবির করা হয়েছে মানুষের  কাছাকাছি গিয়ে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য। এর মানে এমনটা নয় যে শিবির শেষ মানে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া শেষ। প্রতিটি প্রকল্পই থাকছে। যদি কেউ শিবিরের সুবিধা না নিতে পারেন বা শিবিরে কাজ সম্পূর্ণ না হয় পরবর্তীকালে লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ সমস্ত সুবিধা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুয়ারে সরকারের পরিবর্তে মানুষকে সরকারের দুয়ারে যেতে হবে।

- Advertisement -
Latest news
Related news