নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর গ্রামীন অংশে জাতীয় সড়কে অটো রিকশা উল্টে গিয়ে মৃত্যু হল এক ২৮ বছরের যুবকের। ঘটনায় অটোচালক সহ আহত হয়েছেন ৪জন, আহতদের মধ্যে একটি ২ বছরের শিশুও রয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর চৌরঙ্গী মোড় থেকে মোহনপুর যাওয়ার পথে ৬০নম্বর জাতীয় সড়কে রিলায়েন্স পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম বারিকুল মাল। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক খড়গপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটো রিকশাটি যাত্রী নিয়ে খড়গপুর শহর থেকে মেদিনীপুর শহর যাচ্ছিল। মোট অটোয় চারজন যাত্রী ছিলেন। সতকুই পেরিয়ে অটোটি যখন রিলায়েন্স পেট্রোলপাম্পের কাছাকাছি সেই সময় মেদিনীপুরগামী একটি বাস অটোটির প্রায় গা ঘেঁষে ওভারটেক করে এগিয়ে যায়। বাসের পেছন অংশে অটোর সামনের অংশ লেগে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারায় অটোর চালক। অটোটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন দৌড়ে আসেন। যাত্রীদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবককের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবক জ্যোতিষীর পরামর্শে ধারণ করা আংটির রত্ন ব্যবসা করতেন। খড়গপুর মেদিনীপুর সহ নানা জায়গায় এই রত্ন বা পাথর সরবরাহ করতেন তিনি। ব্যবসার প্রয়োজনে খড়গপুরের গ্রামীন অংশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকালে অটোয় চেপে মেদিনীপুর আমতলায় মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত চালক, ২বছরের শিশু ও অন্য যাত্রীদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
উল্লেখ্য খড়গপুর মেদিনীপুর জাতীয় সড়কের এই অংশে প্রচুর আটো রিকশা চলে। গতিশীল জাতীয় সড়কে তিনচাকার এই যান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন যাত্রা হলেও পর্যাপ্ত বাসের অভাবেই মানুষ এই অটো ব্যবহারে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ। এই জাতীয় সড়কে এর আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে অটো। খোলা এবং হালকা হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটলেই মৃত্যু বা মারাত্মক আহত হবার সম্ভাবনা স্বত্ত্বেও এই ঝুঁকির যাত্রা চলছে। আর তার সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। মানুষের অভিযোগ দুই শহরের মধ্যে যথেষ্ট সংখ্যক টাউন বাস পরিষেবা না থাকার জন্যই মানুষ এই ঝুঁকির যাত্রা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।