নিজস্ব সংবাদদাতা: টানা ২ মাসের লড়াই শুরু হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটি থেকেই। তারপর কলকাতা হয়ে জাতীয় স্তরে রাজধানী দিল্লি ছোঁয়া গাজিয়াবাদ থেকে পদক ছিনিয়ে আনল খড়গপুরের রূপোর মেয়ে শুভাঙ্গী রায়। গত ২৬-২৭ জুন গাজিয়াবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ওয়ার্ল্ড যোগা কাপ। ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউনিভার্সাল যোগা স্পোটর্স ফেডারেশন বা UYSF যা ভারতের যোগ ব্যায়াম চর্চার একটি সর্বোচ্চ সংগঠন। UYSF সূত্রে জানা গেছে সাব জুনিয়র বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে খড়গপুর সেন্ট আ্যগনেস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে পাঠরত ৮ বছরের শুভাঙ্গী। জেলা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর শুভাঙ্গী। গত ১৬ই জুন কলকাতায় জাতীয় স্তরের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয় সে। এরপর সোজা দিল্লি।
খড়গপুর শহরের কমলাকেবিন সংলগ্ন জফলা রোড বরাবর শরৎপল্লী কালীমন্দির লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা শুভাঙ্গী বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। যোগার প্রতি অসম্ভব অনুরক্ততা থেকে পাঁচ বছর বয়সেই তাকে যোগাতে ভর্তি করে দেন বাবা-মা। খড়গপুর শহরেরই কৌশল্যা এলাকার হরনাথ আশ্রমের মাঠে খড়গপুর যোগা ক্লাবের সুলোচনা দাসের প্রশিক্ষনেই চলে যোগার পাঠ। ট্রাডিশনাল যোগা বিভাগের প্রতিযোগী ছিল সে।
পড়াশুনা আর যোগার পাশাপাশি হরনাথ আশ্রমের মাঠেই চলে শুভাঙ্গীর ক্যারাটে প্র্যাকটিস। বাবা শুভ্রজিৎ রায় একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার ম্যানেজার হওয়ার সুবাদে দারুন ব্যস্ততা। ফলে মা সোমা রায়কেই সামলাতে হয় শুভাঙ্গীর দিন চর্চা। যোগা আর ক্যারাটে বাদ দিয়ে ছবি আঁকাতেও তুখোড় শুভাঙ্গী। তাকে আঁকার পাশাপাশি গানেও তালিম দেন মা-ই। শুভাঙ্গীর সাফল্যে গর্বিত তার প্রতিবেশীদের পাশাপাশি স্কুল ও খড়গপুর যোগা ক্লাবের সদস্যরাও। শুভাঙ্গীর গর্বে গর্বিত খড়গপুরও।