নিজস্ব সংবাদদাতা: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল মেদিনীপুর কাঁসাই রেল সেতুতে। এক রেলকর্মী সেতু থেকে নদীর জলে পড়ে গিয়ে প্রায় ৪ ঘন্টার কাছাকাছি নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন। এখনও অবধি তাঁর কোনও সন্ধান মেলেনি। সকাল ৯.৫৫ নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে সেই সময় যখন আরণ্যক এক্সপ্রেস ওই রেলসেতু পের হচ্ছিল। জানা গেছে ওই রেলকর্মী যিনি আদতে একজন ট্র্যাক ম্যান তাঁর নাম তাপস দাস। বাড়ি খড়গপুর শহরের খরিদা এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৫ বছরের তাপস দাস অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেই ওই সেতু সংলগ্ন রেললাইনে কাজ করছিলেন।
তাপসের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই গোকুলপুর থেকে মেদিনীপুরের দিকে কাজ চলছিল। দক্ষিণদিকের রেল লাইনের কাজ শেষ করে মেদিনীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা এবং সেতুটা পার হচ্ছিলেন ঠিক সেই মুহূর্তে আপ আরণ্যক এক্সপ্রেস মেদিনীপুরে ঢোকার মুখে সেতুর ওপরে উঠে আসে। সেই সময় কোনোভাবে রেলব্রিজের ধারে চলে যায় ওই রেলকর্মী। সেখান থেকে নদীতে পড়ে যায় সে। ঘটনা জানতে পেরেই তাপসের সঙ্গীরা রেলের খড়গপুর ডিভিশনে খবর পাঠান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে খড়্গপুর ডিভিশনের রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ আধিকারিকরাও। তাপসের সন্ধানে খোঁজ চললেও এখনও তাঁর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বিষয়টি এত দ্রুত ঘটে যায় যে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ওই রেলকর্মী নিজেই নদীতে ঝাঁপ দেয় নাকি অসাবধানতাবশত তাপস ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যায় সেটা বোঝা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে। এখন রেলকর্মীর খোঁজে নদীতে ডুবুরি নামানোর পরিকল্পনা করছেন রেল আধিকারিকদের। তাপসের উদ্বিগ্ন পরিবার সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।