নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘুম ছুটে গেছিল পুলিশের। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছিল নিবিড় তল্লাশি। আর তাতে সাফল্য পেল খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। বুধবার খড়গপুর শহরে জোড়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার গোলবাজার সংলগ্ন বি.এন.আর গ্রাউন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই দুজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতরা হল কে. সুরজ এবং মহম্মদ জাভেদ। ২৪ বছরের সুরজের বাড়ি নিউ সেটেলমেন্ট লাগোয়া হরিজন বস্তিতে। অন্যদিকে ২২ বছরের জাভেদ গোলবাজার আজাদ বস্তির বাসিন্দা। যে লাল রঙের বাজাজ পালসার বাইকটি এরা ছিনতাইয়ের জন্য ব্যবহার করেছিল সেটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বুধবার ১ঘন্টার ব্যবধানে গোলবাজার সংলগ্ন ধ্যান সিং ময়দানের মুখে সুভাসপল্লী গেট এবং ওল্ড সেটেলমেন্ট সাঁইবাবা মন্দির লাগোয়া রেল আবাসনের মুখে যে দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল সেই দুটি ঘটনাই ঘটিয়েছিল এই দুই ছিনতাইকারী। পুলিশের বক্তব্য পরের দিন, বৃহস্পতিবার বি.এন.আর গ্রাউন্ডে বসেছিল এই দুজন। ওই সময় পি.সি পার্টি ওদেরকে চেজ করলে পালানোর চেষ্টা করে সুরজ ও জাভেদ কিন্তু পুলিশ চারদিক ঘিরে ফেলে। ফলে ধরা পড়ে যায় ওরা।
ছিনতাই হওয়া দুটি হারেরও খোঁজ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সেগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। শহরের আরও কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনায় এদের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। ধৃতদের টি.ই প্যারেড বা সনাক্তকরনের জন্য সেই মহিলাদের সামনে দাঁড় করানো হতে পারে।
অন্যদিকে বুধবারের ৪৮ ঘন্টা আগে সোমবার যে দুটি ছিনতাই হয়েছিল সেই ঘটনার এখনও কিনারা করা না গেলেও দ্রুত তা হয়ে যাবে বলে এদিনও আশ্বস্ত করেছে। সোমবার সুভাষপল্লী এলাকায় এক ব্যবসায়ীর ম্যানেজারের প্রায় সাড়ে ৬লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়। ওইদিন রাতে মালঞ্চ এলাকায় এক মহিলার ২লক্ষ টাকা দামের মঙ্গলসূত্র ছিনতাই হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুটি ঘটনারই তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। খুবই দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।