Saturday, July 27, 2024

Midnapore: ফাঁকা জায়গা ছেড়ে জনবহুল স্থানে শশ্মান চুল্লি বানাতে মরিয়া পঞ্চায়েত! পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে লাঠালাঠি তৃনমূল বাহিনীর

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকালয় থেকে দুরে ফাঁকা জায়গা থাকা স্বত্ত্বেও জনবহুল এলাকাতেই শ্মশান চুল্লি বানাতে মরিয়া স্থানীয় পঞ্চায়েত। আর সেকারনেই বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে জোর করে জায়গা দখল করতে এসে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হল তৃনমূল বাহিনীকে। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনার পাশাপাশি চলল লাঠালাঠি ও হাতাহাতি। পরে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। ফের স্থগিত রাখা হয়েছে নির্মাণ কাজ। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানা এলাকার কদমতলা গ্রামে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,কদমতলা গ্রাম যা কিনা চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের অন্তর্গত বান্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। ওই স্থানে বাম আমলে ১৩ ডেসিমেল জায়গা পাট্টা পেয়েছিলেন কার্তিক চন্দ্র বেরা নামে এক ব্যক্তি। কার্তিক বেরা প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর তিন ছেলে ওই জমির মালিক। এঁরা প্রত্যেকেই গরীব, ভূমিহীন, শ্রমজীবী পরিবার। এই জায়গাটি আবার জনবহুল। যেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত অজিত পাল এখানেই শশ্মান চুল্লি করতে মরিয়া। এর আগেও ২ বার তিনি এই চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় ব্যর্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ফের অজিত পাল ও শাসকদলের কিছু স্থানীয় নেতা বেশকিছু বহিরাগত মানুষদের সঙ্গে নিয়ে লাঠি বাঁশ ও দলীয় পতাকা নিয়ে ওই স্থানে হাজির হন। অভিযোগ শ্মশান চুল্লীর জন্য মাটি খুঁড়তেও শুরু করে দেয় অজিত পালের লোকেরা। দেখতে পেয়েই ছুটে আসে গেলে বাধা দেয় পাট্টা পাওয়া ব্যক্তির ছেলেরা এবং গ্রামবাসীরা। শুরু হয়ে যায় বচসা, কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি ও লাঠালাঠি। গ্রামের মানুষরা প্রথমে প্রস্তুত না থাকায় কয়েকজন লাঠির আঘাতে আহত হন কিন্তু তারপরই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে পাল্টা আক্রমনে যায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে। শুরু হয় পাল্টা মার যাতে অপক্ষেরও কিছু আহত হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পাট্টা প্রাপ্ত মৃত কার্ত্তিক বেরার ছেলে খোকন বেরা অভিযোগ করেছেন, এর আগেও দু’দুবার ওই জমিতে শ্মশান চুল্লী করতে এসে বাধা পেয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। আগেও তাঁদের মারধর করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সফল না হওয়ায় আজ বহিরাগত মানুষ নিয়ে ওই জায়গা দখল করার চেষ্টা হয়েছিল। গ্রামের লোকেরাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, লোকালয়ের মাঝখানে, স্কুলের সামনে তাঁরা শশ্মান চুল্লি করতে দেবেননা। পঞ্চায়েত সদস্য অজিত পাল জানান, ‘সরকারি ভাবেই ওখানে শ্মশান চুল্লী তৈরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই জায়গায় এর আগেও মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে,সেই জায়গায় নতুন করে শ্মশান চুল্লী তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোনও কিছু জোর করে হয়নি।”

কিন্তু প্রশ্ন হল অন্যের পাট্টাপ্রাপ্ত জমির ওপর তাঁর নো- অবজেকশন ছাড়া সরকারি প্রকল্প অনুমোদন হয় কী করে? তাহলে কী কোনও জালিয়াতি করা হয়েছে প্রকল্প অনুমোদনে? গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের অদূরেই ফাঁকা জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় শ্মশান চুল্লি করাই যেতে পারে। কিন্তু রাস্তার ধারে ওই ফাঁকা সরকারি জায়গা হাতানোর চেষ্টা করছে পঞ্চায়েত সদস্য। আর সে কারণেই মরিয়া হয়ে উঠেছে শশ্মান চুল্লির জন্য বরাদ্দ টাকা এই জায়গায় খরচ করতে। গ্রামবাসীরা আরও ক্ষুব্ধ সরকারী কাজে বহিরাগত ও শাসকদলের ঝান্ডা ব্যবহার করায়। ঘটনায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই গ্রামে।

- Advertisement -
Latest news
Related news