নিজস্ব সংবাদদাতা: এক তৃনমূল নেতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ৪ এপ্রিল নিজের বোনের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই নেতা তারপর আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। কেশপুর ব্লকের আগর বুথের সভাপতি ওই নেতার নাম আনন্দ রায়। এলাকায় দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিতি ছিল তাঁর। ৪ তারিখ খোঁজাখুঁজির পরেও কোথাও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। উল্লেখ্য আনন্দপুর এলাকায় ঝড়েশ্বর শিবমন্দিরে জলঢালা উপলক্ষ্যে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল ৪তারিখই। সেখানে ৬নম্বর অঞ্চলের সমস্ত বুথ সভাপতি হাজির থাকলেও হাজির ছিলেননা আনন্দ রায়।
আনন্দ রায়ের ছেলে রত্নদীপ রায় জানিয়েছেন, বাবা বাড়ি থেকে দলীয় কাজে বেরুতেন যখন তখন। ফিরতে দেরিও হত এ নিয়ে আমাদের কোনও দুশ্চিন্তা ছিলনা। ৪তারিখ সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পরও বাবা না ফেরায় আমি বাবাকে ফোন করি। কিন্তু তাঁর দুটি ফোনই নট রিচেবল, অন্য নম্বরে ফরোয়ার্ড করা আছে ইত্যাদি বলছিল।
বাবা পিসি বাড়ি যাবেন বলেই বেরিয়েছিলেন আর পিসি বাড়িও খুব দুরে নয়। এরপর বাবাকে ফোনে না পেয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। পিসিকে ফোন করলে পিসি বলেন বাবা সেখানে যাননি। বাবা আনন্দপুরে একটি দোকানে আড্ডা দিতেন। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। বাবার বাইক আর হেলমেট সেখানে আছে কিন্তু সেসব রেখে বাবা কোথায় গেছেন জানা নেই। এরপরই রত্নদীপ আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগ করেন অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে তার বাবাকে।
কেশপুর বরাবরই উত্তেজনা প্রবন এলাকা। রাজনৈতিক সংঘর্ষ, দলীয় কোন্দল ও সংঘর্ষ কেশপুরে প্রায়ই ঘটে থাকে। আনন্দ খুবই সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতেন। ফলে এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা তা ভাবাচ্ছে তাঁর দলীয় নেতা কর্মীদেরও। পাশাপাশি এলাকাতেই একটি ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন আনন্দ। সে ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও ঘটনা তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পেছনেও জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদোলাই। তৃনমূলের পক্ষ থেকেও নিখোঁজ নেতার হদিস বের করার আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। তদন্ত শুরু করে সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।