Saturday, July 27, 2024

Midnapore: পশ্চিম মেদিনীপুরে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ! অভিযোগ নন্দাইয়ের সাথে সহবাসে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: শুধুমাত্র শালীই আধি ঘরওয়ালি নয়, শালার বউকেও নিজের বিছানার ভাগিদারী করার কুৎসিত লালসা মনে মনে বহন করেন অনেকে। এ পোড়া বঙ্গদেশে বিয়ের প্রথম রাত নন্দাইয়ের জন্য বরাদ্দ এমনটাও প্রথা আছে। কিন্তু নারী তা মেনে নেবে কেন? নিজের স্বামীর বদলে অন্য পুরুষের লালসা মেটানোর দায় তো তার নেই। যদিও এই মেনে না নেওয়াই কাল হল ২০ বছরের এক গৃহবধূর। স্বামীর ভগ্নিপতির লালসা মেটাতে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হল মেয়ের বাবা স্বয়ং। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল থানার চাউলি গ্রামে। অগ্নিদগ্ধ ২০ বছরের গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা গুছাইতকে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

প্রিয়াঙ্কার বাবা মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত অভিযোগ করেন,
“বিয়ের পর থেকেই এই বিষয় নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল। আমার নন্দাই অর্থাৎ ননদের স্বামীর কু-নজর ছিল তার প্রতি। আর বর্বর লালসায় ইন্ধন ছিল মেয়ের শাশুড়ির। এই নিয়ে একাধিক বার মিটিং থেকে শুরু করে প্রশাসনেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল কিন্তু কিছু হয়নি। আজ দুপুর নাগাদ আমরা খবর পাই আমাদের মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। হাসপাতালে এসে জানতে পারলাম গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে আমার মেয়ের শাশুড়ী সদ্ধ্যা গুছাইত। সেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্রিয়াঙ্কার গায়ে।”

উল্লেখ্য চাউলি গ্রামের জয়ন্ত গুছাইতের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুঁড় থানার আমারাগোহাল গ্রামের প্রিয়াঙ্কার বিয়ে হয়েছিল বছর তিনেক আগে। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই প্রিয়াঙ্কাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল জয়ন্তর ভগ্নিপতি গণেশ মন্ডল। কারনে অকারণে সে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসত এবং নানা অছিলায় প্রিয়াঙ্কার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করত। প্রথম দিকে বিষয়টিকে নন্দাইয়ের রসিকতা বলেই মনে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। মজাও করেছে সে। কিন্তু ক্রমশঃ সে বুঝতে পারে সে যে বিষয়টিকে নির্মল রসিকতা ভেবেছে তা আসলে কামলালসা, লাম্পট্য। এরপরই রুখে দাঁড়ায় সে। অশান্তির সূত্রপাত সেখান থেকেই।

প্রিয়াঙ্কার বাবার অভিযোগ, তাঁর জামাই জয়ন্তর জামাইবাবু গনেশ মণ্ডল কু প্রস্তাবের কথা শাশুড়ি সন্ধ্যাকে বলার পরও আমল দেয়নি শাশুড়ি। বরং প্রশ্রয় ছিল তাঁরও। এদিকে জয়ন্ত পড়েছিল সমস্যায়। জামাইবাবুকে কিছু বললে দিদির সংসারে অশান্তি হবে এই ভেবে সেও কিছুটা চুপচাপ ছিল আর এই সুযোগ নিয়ে পাশের গ্রামের গণেশ মন্ডলের দাপট আরও বাড়তে থাকে। কারনে অকারণে তার যাতায়াত বাড়তেই থাকে শশুরবাড়িতে। কয়েকবার প্রিয়াঙ্কার শরীরে হাতও দিয়েছিল ওই লম্পট। আর তা নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হয়েছে।

প্রিয়াঙ্কার মায়ের অভিযোগ, এরপরও আমরা ভেবেছিলাম শেষমেষ সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। নিশ্চই মেয়ের ননদ নিজে মেয়ে হয়ে বিষয়টি অনুভব করবে আরেকটি মেয়ের যন্ত্রনা। তাই মেয়েকে বুঝিয়ে সুজিয়ে আমার স্বামীর ঘর করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ দুপুর নাগাদ ঠিক সেই অশান্তি চরমে উঠে। আজও মেয়ের নন্দাই বাড়িতে আসার পর সমস্যা তৈরি হয়। দুপুর বেলায় সেই অশান্তির কথা মেয়ে নিজে আমাদের ফোন করে জানায়। আর তারপরই হঠাৎ সন্ধ্যায় খবর পাই মেয়ের গায়ে আগুন লাগার। আমাদের বিশ্বাস মেয়ের শাশুড়িই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news