নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় ১৫০ মিনিটের ম্যারাথন আলোচনার পর পড়ুয়াদের দাবি মেনেই নিলেন আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ (IIT খারাগপুর5)। সিদ্ধান্ত হয়েছে পরীক্ষা হবে হাইব্রিড মোডেই (Hybrid Mode)। অর্থাৎ যাঁরা চাইবে তাঁরা অনলাইনে (Online)পরীক্ষা দিতে পারবেন, অফলাইনেও (Offline)পরীক্ষা দেওয়া যাবে।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/03/Screenshot_20220321-234708_Facebook.jpg)
ঘরে থাকা পড়ুয়াদের স্বস্তি দিয়ে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের আরও ঘোষণা যে, কেউ মনে করলে ক্যাম্পাসে ফিরতে পারেন, কেউ বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিতে পারেন। উল্লেখ্য সোমবার যে দুটি দাবি নিয়ে মূলতঃ পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাস সেই দাবী গুলি ছিল, ক্যাম্পাসে ফেরা বাধ্যতামূলক করা যাবেনা এবং পরীক্ষা নিতে হবে অফলাইন ও অনলাইন দুই বিকল্পকে সামনে রেখেই। কার্যত তাই মান্যতা পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ক্যাম্পাসে।
আইআইটি খড়গপুরের রেজিস্টার তমাল নাথ জানিয়েছেন, ‘ আইআইটি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অফলাইন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে অনলাইনেও পরীক্ষা দিতে পারেন।’ আইআইটি খড়গপুরের এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ‘KGP বাংলা’কে জানিয়েছেন, আমরা খুশি যে ডিরেক্টর, ডিন এবং সম্মানিত সিনেট সদস্যরা আমাদের বেদনা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আমরা যে কথাটা বারবার বলতে চেয়েছি সেটা হল, লকডাউন প্রত্যাহৃত হওয়ার পর সময় থাকতে সমস্ত পড়ুয়াকে যখন ক্যাম্পাসে ফেরানো যায়নি তখন শুধুমাত্র পরীক্ষাকে সামনে রেখে তাঁদের দু’হাজার কিলোমিটার দূর থেকে হঠাৎ করে ক্যাম্পাসে ফেরার নির্দেশিকাটা অবৈজ্ঞানিক। তাছাড়া ক্যাম্পাসও তাঁদের জন্য তৈরি হয়নি। যাঁদের ১৫দিনের নোটিশে ফিরতে বলা হয়েছে তাঁদের হোস্টেলে থাকার পরিকাঠামোটাই তৈরি করতে আরও ১মাস লেগে যাবে।”
সোমবার দিনভর পড়ুয়া বিক্ষোভের পর দুপুরেই পড়ুয়াদের কয়েকজন ডেকে আলোচনায় বসেন সিনেট সদস্যরা। সেখানেই ঠিক হয়েছিল টেগোর ওপেন এয়ার থিয়েটারেই সমস্ত পড়ুয়া ও আইআইটি খড়গপুর ডিরেক্টর ও আ্যকাডেমিশিয়ানরা পারস্পরিক আলোচনায় বসবেন। সোমবার রাত ৮টা থেকে রাত প্রায় ১১.২০ অবধি চলে সেই আলোচনা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে হাইব্রিড মোডেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য আগামী ৭এপ্রিল থেকে আইআইটি খড়গপুরের সমস্ত বিভাগেরই সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। যে কারনে ৩১শে মার্চের মধ্যে সমস্ত পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।