Saturday, July 27, 2024

Midnapore TMC: পশ্চিম মেদিনীপুরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারনা! তৃনমূল নেতাকে গাছে বেঁধে রাখল জনতা, শুরু হবে প্রতারক ধরা অভিযান

A mob tied a Trinamool leader to a tree for hours for allegedly cheating him out of lakhs of rupees in the name of giving him a job. The leader will be released only after paying all the money demanded by the people. The incident took place in Satyapur village panchayat area of ​​Debra thana area of ​​West Medinipur district. The leader has been tied to a tree behind a local sub-health center for the past 4 hours. However, it has been reported that he has not been beaten up so far. According to local sources, the Trinamool leader's name is Dilip Patra, a resident of Balichak area. At one time, the Trinamool labor organization INTTUC Debra Block was president. Kanilal Murmu, a resident of Satyapur area of ​​Debra police station, said that Dilip Patra took 5 lakh rupees from my nephew Arun Hansda of Rajpura village of Kharagpur local police station in the name of getting him a job in the railways. At that time Dileep said if he can pay the money within 1 month then the job will be a job. Arun's father sold a bigha of land and handed over the money to Dilip. Then Dilip took Arun to Kolkata to join the service. Lives in Kolkata on Arun's money for a month, eats and drinks but has not lost his job. After receiving the news, I reported the matter to the police officer of Debra police station. The officer called Dileep and asked him to return the money but Dileep did not give the money.

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান : চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারনা করার অভিযোগে এক তৃনমূল নেতাকে ঘন্টার পর ঘন্টা গাছে বেঁধে রেখছে জনতা। জনতার দাবি সমস্ত টাকা মেটানোর পরই মুক্তি দেওয়া হবে ওই নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানা এলাকার সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গত প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে স্থানীয় একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনের একটি কদম গাছে বাঁধা রয়েছেন ওই নেতা। যদিও এখনও অবধি তাঁকে মারধর করা হয়নি বলেই খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বালিচক এলাকার বাসিন্দা ওই তৃনমূল নেতার নাম দিলীপ পাত্র। এক সময় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আই এনটিটিইউসির  ডেবরা ব্লক সভাপতি ছিলেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

ডেবরা থানার সত্যপুর এলাকার বাসিন্দা কানাইলাল মুর্মু জানিয়েছেন, ওই দিলীপ পাত্র আমার ভাগ্নে খড়গপুর লোকাল থানার রাজপুরা গ্রামের অরুন হাঁসদা র কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিল রেলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে। সেই সময় দিলীপ বলেছিল ১ মাসের মধ্যে টাকা দিতে পারলে চাকরি তবেই চাকরি হবে। উপায়ন্তর না দেখে অরুনের বাবা এক বিঘা জমি বিক্রি করে ওই টাকা দিলীপের হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপর দিলীপ অরুনকে নিয়ে চাকরিতে জয়েন করানোর জন্য কলকাতায় নিয়ে যায়। একমাস অরুনের টাকাতেই কলকাতায় থাকে, খাওয়া দাওয়া করে কিন্তু চাকরি হায়নি। খবর পাওয়ার পর আমি বিষয়টি ডেবরা থানার পুলিশ আধিকারিককে জানাই। আধিকারিক দিলীপকে ডেকে টাকা ফেরত দিতে বলেছিলেন কিন্তু দিলীপ টাকা দেয়নি।

কানাইলাল মুর্মু জানান, দিলীপের খোঁজে যখন আমি বালিচ্ক এলাকায় তার দলীয় কার্যালয়ে যেতাম তখনই ওখানকার মানুষ আমাকে জানায় যে ওই তৃনমূল নেতা এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কিন্তু কারুরই কোনও কাজ হয়নি। দিলীপ আমাকে বলে সে চেকে আমাদের ২৫ হাজার টাকা করে ফেরত দেবে। একটা চেকও সে আমাদের দেয় কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে। দেখা যায় ওনার অ্যাকাউন্টে মাত্র ৬০০ টাকা পড়ে রয়েছে। এরপর আমি বিষয়টি আমাদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের নেতাদের জানাই। মহালের মুলুক খোঁজ নিতে শুরু করলে ওই নেতা পালাতে থাকেন। আজ শনিবার শ্যামচক এলাকায় একটি জায়গায় ওই নেতা রয়েছেন এমন খবর পাওয়ার পরই আমরা ওনাকে ধরে এনেছি। আমরা হয় ওনার কাছে টাকা চাই অথবা ওনার হয়ে গ্যারেন্টার চাই নতুবা ওনাকে ছাড়া হবেনা।

ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহালের ডেবরা মুলুকের প্রধান গোপাল মুর্মু জানিয়েছেন, গরীব সহজ সরল আদিবাসী মানুষদের এই ভাবে দিনের পর দিন ঠকিয়ে চলেছেন ওই নেতা। আমরা খবর পেয়েছি আরও একাধিক যুবককে প্রতারিত করা হয়েছে। চাকরি পাওয়ার জন্য সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে। ডেবরা এলাকা জুড়ে এই ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। শুধু টাকা নিয়ে প্রতারনা নয় বহু মানুষের পাট্টা জমি, বর্গা জমিও দখল হয়েছে। আমরা সাবধান করে দিচ্ছি হয় টাকা, জমি নিজে নিজে ফেরত দিয়ে দাও না হলে দিলীপ পাত্রের মত গাছে বাঁধা হওয়ার জন্য তৈরি হও।

অভিযুক্ত দিলীপ পাত্র বলেছেন, ” আমি নিজে টাকা নিয়েছিলাম কারন কলকাতার এক নেতা আমাকে বলেছিলেন, তাঁর সাথে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ আছে। তাঁরই কথা মত ওই টাকা নিয়ে ওকে দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি যে ওই নেতা একজন প্রতারক।” সত্যপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি চন্দন বেরা বলেন, আমি জানিনা এরকম ঘটনার কথা। আমাদের দল চাকরির নাম করে টাকা আদায়ের বিরোধী। যদি এরকম কেউ করে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।

- Advertisement -
Latest news
Related news