নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ১৭ বছর বয়স, থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক এলাকায়। আর সেই প্রান্তিকে থেকেই আদায় গড়ে ফেললেন জাতীয় রেকর্ড। সম্প্রতি সেই স্বীকৃতি এসেছে গ্রেট ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডস থেকে এমনি দাবি ওই কিশোরের পরিবারের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ক্ষীরপাই পৌরসভার অভিনন্দন ঘোষ ভারতীয় যোগের অনন্য দিকগুলি তুলে ধরে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ক্ষীরপাইয়ের অভিনন্দন খুব ছোট থেকেই যোগ ব্যায়াম শিখেছেন বাবার কাছেই। বাবা সঞ্জিত ঘোষ যোগ ব্যায়ামের প্রশিক্ষক। বহু মানুষকে যোগ ব্যায়াম শেখান। তাঁর প্রশিক্ষনের আওতায় আছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ অনেক ব্যক্তি যাঁরা শরীরের বিভিন্ন উপসর্গ থেকে মুক্তি পেয়েছেন যোগ ব্যায়াম করেই। সঞ্জিত এবং তাঁর পরিবারও নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করে থাকেন। পরিবারের ক্ষুদ্রতম সদস্য হিসাবেই অভিনন্দন ৩ বছর বয়স থেকেই যোগ অভ্যাস করতে শুরু করে।
অভিনন্দনের বাবা বলেন, যোগের অন্যতম একটি আসন হল ‘গোখিলা’। সর্বোচ্চ সময় ধরে রেখে অভিনন্দন এই গোখিলা আসনটি করে জুনিয়র গ্রুপে দেশের মধ্যে এই রেকর্ড করেছে। সঞ্জিত বলেন, আমরা কিছুদিন আগে অনলাইনে নিজেই নাম নথিভূক্ত করেছিলাম। এরপর গ্রেট ইন্ডিয়ান বুক রের্কডস কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিনন্দনের পারফরম্যান্স ভিডিও করে পাঠাতে বলেন। বিভিন্ন কোন থেকে সেই ভিডিও করে পাঠানো হয়। কয়েক আগেই তার আগে সার্টিফিকেট ও পুরষ্কার এসেছে।
সঞ্জিতের আক্ষেপ, যোগের উৎসভূমি এই দেশ আজ নিজেই যোগাভ্যাস থেকে সরে যাচ্ছে। প্রাচীন কাল থেকে হাজার হাজার বছরের পরম্পরায় যে যোগ ব্যায়াম মুনি ঋষিরা উদ্ভাবন করেছিলেন আজ তা সারা বিশ্বে সমাদৃত। ইউরোপ আমেরিকা যখন যোগের জন্য নতুন নতুন কেন্দ্র তৈরি করছে, তাদের পাঠক্রমে যোগকে অন্তর্ভুক্ত করছে তখন আমাদের দেশেই উপেক্ষিত যোগ।
অভিনন্দন জানিয়েছে, ‘ আমার স্বপ্ন যোগকে আমি দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেব আমার ক্ষমতা মত। বাবার মত যোগব্যায়ামের প্ৰশিক্ষক হব। নতুন নতুন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে যোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও আগ্রহ তৈরি করব। ভারতের মত দেশ যেখানে প্রচুর মানুষ পয়সার অভাবে চিকিৎসার সংস্থান করতে পারেননা অথচ জানা থাকলে নূন্যতম যোগাভ্যাসে অনেক শারীরিক উপসর্গ দূর হতে পারে। সেই বিষয়গুলি নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।’