নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরেও চালু হতে চলেছে পর্যটকদের জন্য হোম-স্টে। উদ্দেশ্য পর্যটকদের পর্যটনকেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার সুযোগ করে দেওয়া। জেলার পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে থাকা একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ” আমাদের জেলায় বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে কিন্তু পর্যটকদের রাত্রিবাস করতে হয় মেদিনীপুর বা খড়গপুর শহরে এসে। আমরা চাইছি পর্যটনকেন্দ্র গুলির কাছাকাছি তাঁদের থাকার সুবিধা করে দিতে এর ফলে পর্যটকরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমন স্থানীয় মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জেলা জুড়ে মোট ৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল হোম-স্টে করার অনুমতি চেয়ে। বুধবার অবধি ৭টি আবেদনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৫ই আগস্টের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ টি অনুমতি দিতে চলেছে প্রশাসন। অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো, লোকবল ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মেনে পর্যটকদের যাবতীয় তথ্য পঞ্জি জমা রাখতে হবে হোম-স্টে গুলিকে। পর্যটনের নামে যাতে কোনো অবাঞ্ছিত লোকজন ওই হোম-স্টে ব্যবহার না করতে পারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে আর পর্যটকদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পুষ্টি ও গুণমান যুক্ত খাবার ইত্যাদি বিষয়ে জোর দিতে বলা হচ্ছে হোম-স্টে কে।
আপাততঃ যে ৭টি হোম-স্টে অনুমতি পেয়েছে সেগুলি হল গড়বেতার গনগনি, শালবনীর কর্নগড়, পিংলার পটের জন্য বিখ্যাত নয়া এবং বিদ্যাসাগরের জন্মভিটা বীরসিংহ গ্রামে। এছাড়াও আবেদন এসেছে কেশপুরের মোহবনী, মেদিনীপুর সদরের পাথরা সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে। অনুমোদন প্রাপ্ত হোম-স্টে মালিকদের ১৫ই আগস্ট বা তার আগে জেলা প্রশাসন অনুমতিপত্র বা লাইসেন্স তুলে দেবে। এছাড়াও প্রায় ৯০ জন যুবক যুবতীকে ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলির ইতিহাস, ভূগোল, বৈচিত্র্য ও বিশেষত্ব তুলে ধরবেন পর্যটকদের কাছে। বিনিময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য নিতে পারবেন পর্যটকদের কাছ থেকে। জেলা প্রশাসন মনে করছেন এই ভাবে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যেতে চলেছে পর্যটনকে ঘিরে।