Saturday, July 27, 2024

Midnapore: মেদিনীপুরের গ্রামে এমবিবিএস সন্তুর বিনে পয়সায় ক্লিনিক! শিক্ষকরা বললেন, গরীবের মসিহা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসক জীবন শুরুর সময়ে শপথ নিয়েছিলেন মানুষের জীবন রক্ষার। সে শপথ তো সবাই-ই নেন কিন্তু ক’জন মনে রাখেন? কিন্তু মনে রেখেছেন এক কৃষক সন্তান। ২০২০ সালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিদ্যায় সফল হয়ে চিকিৎসক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন ডাঃ সন্তু বাসুলী। তিনিই এবার চালু করলেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যের ক্লিনিক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাইকারাপুর গ্রামে রবিবার, ৬ই জুন থেকে শুরু হয়েছে ডাঃ সন্তু বাসুলীর এই ক্লিনিক যেখানে প্রতি রবিবার রোগী দেখবেন বলে জানিয়েছেন ডঃ বাসুলী।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

ডাঃ বাসুলীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন
পাইকারাপূর মিলন সংঘ ক্লাবের সদস্যরা। তাঁরা তাঁদের ক্লাবের ঘর ও প্রাঙ্গন খুলে দিয়েছেন এই ক্লিনিকের জন্য। এখন থেকে প্রতি রবিবার এই ক্লিনিকে বিনামূল্যে রোগী দেখবেন তরুণ চিকিৎসক ডাঃ সন্তু বাসুলী। মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের এই প্রাক্তনী ২০২০ সালে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এখন তিনি এমডি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিন ক্লিনিক শুরুর দিন ডাঃ সন্ত বাসুলীকে উৎসাহিত করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। উপস্থিত ছিলেন সন্তু বাসুলীর বাবা গোবিন্দ বাসুলী, ক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আশীষ বাগ, প্রসেনজিৎ দন্ডপাট, স্বরূপ বাসুলী, রাজেশ ভূঞ্যা প্রমুখ।

প্রথম দিনই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা করাতে উপস্থিত হয়েছিলেন ১৮ জন রোগী। আশেপাশের ১০/১২টি গ্রামের গরিব মানুষ এঁরা। বেশিরভাগেরই নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জোগাড়। সন্তুর শিক্ষক সুদীপ খাঁড়া জানিয়েছেন গরিব সংখ্যালঘু এবং তফসিলি জাতি উপজাতি অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষরা সব সময় হাতের কাছে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ পাননা। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের হাসপাতালে যেতে গেলে যে গাড়ি ভাড়া লাগে তাও খরচ করার সামর্থ্য নেই। তাঁদের জন্য সন্তুর এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ক্লিনিকের উদ্বোধনের সময় সুদীপ স্বয়ং চারাগাছ ও ফুলের স্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নিজের কৃতি ছাত্রকে। আর সন্তানের এই উদ্যোগে খুশি সন্তু বাবুর বাবা গোবিন্দ বাসুলী ও মা নমিতা বাসুলী।

নমিতা বলেন, ‘ ছেলে ডাক্তারি পড়ার সময় তাঁকে বলেছিলাম, সরকারি চাকরি বা নিজের উদ্যোগে প্র্যাকটিস যাই করোনা কেন। আমার এলাকার গরিব মানুষদের দেখো। আমাদের আশেপাশের কেউ যেন না বিনে চিকিৎসায় মারা যায় সেই প্রতিজ্ঞা করতে হবে তোমাকে। আমার খুব ভালো লাগছে যে আমার ছেলে সেই কথা রেখেছে।’ সন্তুর বাবা গোবিন্দ বাসুলী বলেন, ‘ চিকিৎসক সমাজই হল একমাত্র সমাজ যারা সরাসরি মানুষের উপকার করার সুযোগ পায় নিজের পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে। মানুষ চিকিৎসকদের দেবতার স্থানে বসিয়েছেন তাই চিকিৎসকদেরও সেই প্রতিদান দেওয়া উচিৎ।” সন্তুর এই উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

- Advertisement -
Latest news
Related news