Saturday, July 27, 2024

Mahishadal: বিতর্কে মহিষাদলের রথ, জেলাশাসকের নাম করে মাঠ বেচার কমিশন খাচ্ছেন বিধায়ক! জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ যুবক যুবতীদের

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪৫ বছরে পা দিল মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী রথ। গত ২ বছর অতিমারীর জন্য মেলা হতে পারেনি এবার তাই এলাহী আয়োজন। যদিও তারই মধ্যে বিতর্ক তাড়া করছে মেলার মাঠকে ঘিরে। সরকারি মাঠে মেলার জন্য স্টল করতে চেয়েছিলেন এলাকার কিছু বেকার যুবক যুবতী। অভিযোগ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেই মাঠ আর তার আশি শতাংশ কমিশন খাচ্ছেন বিধায়ক স্বয়ং। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবক যুবতীরা। জেলাশাসক জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

২৭শে জুন ১০জন স্থানীয় যুবক যুবতী পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, রাজবাড়ি চত্বরে ছোলাবাড়ি ময়দানে দোকান করার জন্য তাঁরা মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর কাছে দরবার করতে গেলে চক্রবর্তী তাঁদের জনৈক রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। কলকাতাস্থ সেই রাজু তাঁদের জানিয়ে দেয় প্রতি বর্গফুটের জন্য ১০০০ টাকা লাগবে যার ৮০০ টাকা যাবে বিধায়কের কাছেই! অভিযোগকারীরা আরও জানিয়েছেন, বিধায়ক তাঁদের বলেছেন জেলা শাসকের নির্দেশ মতই রাজুকে মাঠ লিজ দেওয়া হয়েছে এবং রাজু তাঁদের বলেছেন, তিলক চক্রবর্তী জেলাশাসকের খুবই ঘনিষ্ট। সবমিলিয়ে ওই অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন জেলাশাসককে সামনে রেখেই এই কারবার চলছে।

ওই যুবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, মাঠ যদি সরকারি সম্পত্তি হয়ে থাকে তবে সেই টাকা সরকারের ট্রেজারিতে জমা না পড়ে কোনও এক রাজুর কাছে জমা দিতে হবে কেন? তাঁদের আরও অভিযোগ এই রাজু আসলে বিধায়কের আত্মীয় যাকে সামনে রেখে এই উপার্জনের রাস্তা বানিয়েছেন বিধায়ক। তাঁদের প্রশ্ন কয়েক’শ স্টলের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আয় হবে এখান থেকে অথচ এলাকার বেকার যুবক-যুবতীরা ব্যবসা করে খেতে পারবেনা? শুধু তাই নয় ওই এলাকার বাইরে রাজবাড়ির অংশে রাজাদের নিজস্ব জমি রয়েছে সেখানেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে টাকা আত্মসাৎ করছেন। আর সবটাই চালানো হচ্ছে জেলাশাসকের নির্দেশ বলে! জানা গেছে এই মেলাকে ঘিরে এবার ১৫০০স্টল বসতে চলেছে।

মহিষাদলের বিধায়ক অবশ্য পুরো ব্যাপারটাই বিজেপির তৈরি করা কুৎসা ও অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন, “দোকান বসানোর বিষয়টি রাজবাড়ি দেখে। এর সাথে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। রথের ঠিক আগে কুৎসা করার জন্যই বিজেপির কিছু মানুষ এই ধরনের অপপ্রচার করছে।” এদিকে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েই হলদিয়ার মহকুমাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন জমি সরকারের এবং সেখানে কীভাবে ব্যবসা করা হচ্ছে। এবিষয়ে রিপোর্ট এলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান জেলাশাসক।

- Advertisement -
Latest news
Related news