নিজস্ব সংবাদদাতা: নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখে মাস তিনেক আগে লটারি কাটা শুরু করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রঙ মিস্ত্রি যুবক প্রশান্ত সাঁতরা। মাস খানেক আগে লাখের স্বপ্ন থেমে গিয়েছিল নব্বই হাজারে কিন্তু সেই স্বপ্ন যে কোটি টাকায় দাঁড়াবে কে জানত! কিন্তু তেমনটাই ঘটে গেল লক্ষ্মীবারে! খবর পৌছালো লক্ষ্মীবারেই লক্ষী এসেছে তার কাটা লটারির নম্বরেই। এমন খুশির খবরে খুশির হাওয়া গোটা মহিষাদল জুড়েই।
জানা গেছে বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় রঙ-এর কাজ করেই জীবিকা অর্জন করেন প্রশান্ত। গত ২বছর করোনাকালে সেই জীবিকার দফারফা হয়ে গেছিল। হালে সেই আয় একটু একটু করে বাড়তে শুরু করলেও তেমন আয়ে এখনও পৌঁছাতে পারেনি সে। ফলে বিয়ে থা করে হওয়া ওঠেনি। বাড়তি কিছু আয়ের আশায় মাস তিনেক লটারির টিকিট কাটা শুরু করেছিল সে। মহিষাদলের মামনি লটারি এজেন্সির কাছ থেকেই টিকিট কাটত সে। মাস খানেক আগে সেখান থেকেই পেয়েছিল নব্বই হাজার টাকা। আর তারপর বৃহস্পতিবার একেবারে এক কোটি টাকা লাগায় আহ্লাদে আটখানা প্রশান্ত।
প্রশান্তের এক কোটির খবর ছড়িয়ে পড়তে মহিষাদলের ঘুগনি গলিতে উচ্ছ্বাস বন্ধুদের মধ্যে। বন্ধুরা রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসব পালন করেছে। টাকা পেয়ে প্রশান্তের ইচ্ছা এবার একটা স্থায়ী কোনও ব্যবসা শুরু করবে। আর ঘুরে ঘুরে রঙের কাজ করবেনা সে। বন্ধুরা অবশ্য চাইছে ধনলক্ষ্মী যখন এসেছে তখন এবার স্ত্রী লক্ষ্মী ঘরে আনার ব্যবস্থা করুক প্রশান্ত। লাজুক প্রশান্ত চাইছে তার আগে ঘরটা একটু ভদ্রস্ত করে নেওয়া দরকার।