নিজস্ব সংবাদদাতা: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিক তার আগেই মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়ার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে ১৬ বছরের ছেলেটিকে। আর হাসপাতালের বিছানায় বসে সেই দুই পরীক্ষাই সামাল দিতে হচ্ছে তাকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কিশোরের পরিবার।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2022/03/IMG-20220307-WA0018.jpg)
জানা গেছে পলাশচাবড়ির বাসিন্দা ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রবিবার রাতে শেষবারের মত পরীক্ষা প্রস্তুতি শেষ করে উঠোন পেরিয়ে যাচ্ছিল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। সেই সময় কিছু একটার দংশন অনুভব করে সে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকেরা ছুটে এসে দেখতে পায় একটি চন্দ্রবোড়া সাপ। সাথে সাথে প্রতিবেশীদের সাহায্যে চন্দ্রকোনা পলাশচাবড়ি নিগমানন্দ হাই স্কুলের ওই ছাত্র গৌতম ঘোষকে নিয়ে আসা হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। রাতেই চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা শুরু করে দেন।
সকালেই ছেলের পরীক্ষা তাই হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোনা জিরাট হাই স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে। সেখানেই পরীক্ষা দেওয়ার নির্ধারিত কেন্দ্র ঠিক হয়েছিল তার। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন তাই বছর নষ্ট করতে চায়নি গৌতম ও তার পরিবার। কিন্তু পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষা কেন্দ্রে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তারপরই দ্রুত তাকে নিয়ে আসা হয়। এরপর বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালেই তার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষকের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও নজর রাখছেন তার শরীরের ওপর।
চন্দ্রকোনা ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ স্বপননীল মিস্ত্রি জানান রবিবার রাতে বাড়ির মধ্যে বিষধর সাপ কামড়ে ছিল ওই বালককে। চিকিৎসকদের অনুমান সাপটি চন্দ্রবোড়া। রাতেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসা জন্য আসে সে চিকিৎসকরা তাকে তার শরীরের কথা ভেবে তাকে চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু আজ মাধ্যমিক পরীক্ষা এই অসুস্থ শরীর নিয়ে সে পরীক্ষা দিতে গেলে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে অবশেষে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরে থেকে তাকে গুরুতর অবস্থায় চন্দ্রকোন হাসপাতালে নিয়ে আসে শিক্ষকরা চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে গৌতম। প্রতিবেশীরা পরে সাপটিকে মেরেও ফেলে এবং দেখা যায় সেটি চন্দ্রবোড়াই। চিকিৎসকরা বলেছেন ওই সাপ কামড়ের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণনে রাখা প্রয়োজন। প্রচ্ছদ-নেটদুনিয়া